চাকরির টোপ দিয়ে মথুরাপুরে তৃণমূল নেতার শ্যালিকাকে ধর্ষণ
চাকরির টোপ দিয়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মথুরাপুরে এক তৃণমূল নেতার শ্যালিকাকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল আরও এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। থানায় জানালে মোবাইলে তোলা নির্যাতিতার অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা পলাতক।
ওয়েব ডেস্ক: চাকরির টোপ দিয়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মথুরাপুরে এক তৃণমূল নেতার শ্যালিকাকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল আরও এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। থানায় জানালে মোবাইলে তোলা নির্যাতিতার অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা পলাতক।
পরিবারের আর্থিক অনটনে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। অভাবের সংসারে হাল ধরতে কাজ খুঁজছিলেন তিনি। আশা ছিল জামাবাবু তথা এলাকার তৃণমূল যুব নেতা একটা ব্যবস্থা করে দেবেন। সেইজন্যই শ্যালিকাকে নিয়ে আইসিডিএসের চাকরির জন্য পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আবদুস সালাম শাহের কাছে যান তিনি। তরুণীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় আবদুস। সপ্তাহ খানেক আগে সার্টিফিকেট দেখান নাম করে এলাকারই একটি বাড়িতে তরুণীকে ডেকে পাঠায় সে। সন্ধে নাগাদ তরুণী সার্টিফিকেট নিয়ে হাজির হয় সেই বাড়িতে। তারপরই তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতার দাবি, মোবাইলে তোলা অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এবং প্রাণনাশের হুমকির ভয়ে সে থানায় কিছু জানায়নি। অভিযোগ, সেই সুযোগে আরও কয়েকবার তরুণীকে ধর্ষণ করে আবদুস। নারকীয় অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অবশেষে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করে তরুণী। দলেরই এক নেতা এধরণের ঘৃণ্য কাজ করায় হতাশ তরুণীর জামাইবাবু। স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও অভিযুক্তের শাস্তি চাইছেন।
ঘটনা লিখিত ভাবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন যুব নেতা। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ফেরার। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।