ধর্ষণের পরে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা বারুইপুরে
গতকাল দুপুরে বাড়িতে নিজের বোনের সঙ্গে একাই ছিল ওই কিশোরী। অভিযোগ এলাকারই তিন যুবক তখন বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য কেরোসিন ঢেলে তার গায়ে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন প্রতিবেশি এক মহিলাকে। কিশোরীকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে বারুইপুর থানার পুলিস।
ফের গণধর্ষণের অভিযোগ। এবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুরে। এক কিশোরীকে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল তিন যুবকের বিরুদ্ধে।বারুইপুরের ভাটা গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরীর বাবা,মা কলকাতায় কাজ করেন।
গতকাল দুপুরে বাড়িতে নিজের বোনের সঙ্গে একাই ছিল ওই কিশোরী। অভিযোগ এলাকারই তিন যুবক বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য কেরোসিন ঢেলে তার গায়ে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন প্রতিবেশি এক মহিলা। কিশোরীকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে বারুইপুর থানার পুলিস। বারুইপুর থানায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন বারুইপুরের এসডিপিও দীপক সরকার। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই বারুইপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, গুরুতর অগ্নিদগ্ঘ ওই কিশোরীর ভিডিওগ্রাফি করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিস।
আসানসোল, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরের পর এবার বারুইপুর। গত দুদিনে রাজ্যে তিনটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটল । একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যের মানুষ। সবচেয়ে বেশি আশঙ্কার জায়গা প্রশাসনের অবস্থান। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা তো দূর অস্ত, খোদ পুলিসমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের খবর প্রকাশ করার জন্য সংবাদমাধ্যমকেই প্রায় প্রতিদিন তুলোধনা করছেন। অনেকেই মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রী সহ প্রশাসনের এই অবস্থানের কারণে দুষ্কৃতীরা প্রশ্রয় পাচ্ছে।