অনলাইনে ভর্তির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন, ছাত্রদের বিরোধিতায় পদত্যাগ করলেন রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ
অনলাইনে ভর্তির পক্ষে সওয়াল করার মাসুল দিতে হল রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে। গতবারও এই কলেজে অনলাইনে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু এবার বেঁকে বসেন ছাত্রনেতারা। তাদের সাফ কথা, ছাত্র ভর্তি করতে হবে অফ লাইনেই। এই নিয়ে ছাত্র সংসদের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের। শেষ পর্যন্ত চাপ সহ্য করতে পেরে পদত্যাগ করলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
অনলাইনে ভর্তির পক্ষে সওয়াল করার মাসুল দিতে হল রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে। গতবারও এই কলেজে অনলাইনে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু এবার বেঁকে বসেন ছাত্রনেতারা। তাদের সাফ কথা, ছাত্র ভর্তি করতে হবে অফ লাইনেই। এই নিয়ে ছাত্র সংসদের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের। শেষ পর্যন্ত চাপ সহ্য করতে পেরে পদত্যাগ করলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
উচ্চমাধ্যমিকের ফল বেরিয়ে গিয়েছে। চলছে কলেজে ভর্তির তোড়জোড়। তার প্রস্তুতি চলছিল রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজেও। গত বছর এই কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল অন লাইন প্রক্রিয়া মেনে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবারও অন লাইন প্রক্রিয়া মেনেই ভর্তির ব্যাপারে অনড় ছিলেন। কিন্তু বাধ সাধে ছাত্র সংসদ। রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের ছাত্র সংসদ রয়েছে ছাত্র পরিষদের দখলে। তারা অন লাইনে ভর্তির ঘোর বিরোধী। অনলাইন না অফলাইন, এই নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সঙ্গে ছাত্র পরিষদের বিরোধ চরমে ওঠে। চাপ ক্রমশ বাড়ছিল। শেষ পর্যন্ত পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উত্তম কুমার রায়। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
যদিও ছাত্র পরিষদের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। গতবছর যে কলেজে পুরো ভর্তি প্রক্রিয়া অন লাইনে সম্পন্ন হয়েছে, হঠাত সেখানে ভর্তির ক্ষেত্রে পরিকাঠামোর অভাব দেখা দিল কেন? ছাত্র পরিষদ নেতারা এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি। অফ লাইনে ভর্তির পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে নতুন শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যকেই হাতিয়ার করছেন তাঁরা।