জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত রাজনৈতিক সংঘর্ষ চলছেই

প্রথম দফার দ্বিতীয় দিনের ভোটপর্ব মিটলেও জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত রাজনৈতিক সংঘর্ষ চলছেই। কোথাও বিজেপি প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি তো কোথাও হামলা সিপিএমের কার্যালয়ে। বিরোধী দলের কর্মীদের মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে।

Updated By: Apr 12, 2016, 11:05 PM IST
জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত রাজনৈতিক সংঘর্ষ চলছেই

ওয়েব ডেস্ক: প্রথম দফার দ্বিতীয় দিনের ভোটপর্ব মিটলেও জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত রাজনৈতিক সংঘর্ষ চলছেই। কোথাও বিজেপি প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি তো কোথাও হামলা সিপিএমের কার্যালয়ে। বিরোধী দলের কর্মীদের মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে।

পানিহাটির আঠারো নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের তিনটি কার্যালয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। চেয়ার টেবিল ভাঙচুরের পাশাপাশি, ছিঁড়ে ফেলা হয় দলীয় পোস্টার, পতাকা। দশটি বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। অভিযোগ, শাসকদলের মদতেই এলাকায় হামলা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সিপিএম নেতা অসীম দাশগুপ্ত।

সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে গুলিবিদ্ধ হন বিজেপি প্রার্থী সনাতন কর্মকার। হামলার অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতা সত্যেন রায়ের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।

সোমবার রাতে বেশ কয়েকজন বাম সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। একজনের বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।  চলে বাইক বাহিনীর দাপাদাপি। গোটা ঘটনায় শাসকদলের নেতা কর্মীদের হাত থাকার অভিযোগ উঠেছে। হামলা ঠেকাতে মঙ্গলবার সকালে লাঠিসোটা ও তিরধনুক নিয়ে এলাকায় মিছিল হয়। তবে বাম সমর্থকদের আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

দলীয় প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার সময় তিনপুকুর এলাকায় আক্রান্ত হন সিপিএম কর্মী  উত্‍পল সরকার। অভিযোগ, দলীয় অফিস থেকে বেরিয়ে এসে তাঁর ওপর হামলা চালায় তৃণমূল সমর্থকরা। উত্‍পলবাবু প্রাক্তন মন্ত্রী মোহন্ত চট্টোপাধ্যায়ের আপ্তসহায়ক। আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

কোচবিহারের শিতলখুচির আক্রাহাটে সিপিএমের মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছে। জখম বেশ কয়েকজন। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

.