পাড়া প্রতিবেশীদের চাপে ১০ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের পায়ে শিকল বাবা, মায়ের
পাড়া প্রতিবেশীদের উত্যক্ত করে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক। প্রতিদিনই ছেলের সম্পর্কে প্রতিবেশীদের থেকে অভিযোগ। দিনমজুর দম্পতির কাছে তা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অথচ ছেলের চিকিত্সা করানোর মতোও টাকা নেই। তাই ছেলের পায়ে দশ বছর আগেই শিকল বেঁধে দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের আমলাবেড়ার রায় দম্পতি।
পশ্চিম মেদিনীপুরের আমলাবেড়ায় গেলে দেখা হয়ে যেতেই পারে সন্দীপ রায়ের সঙ্গে। মানসিক ভারসাম্যহীন এই যুবকের পায়ে শিকল লাগিয়ে দিয়েছে তাঁর পরিবার। এই শিকল বাঁধা অবস্থাতেই তার ঘোরাফেরা এদিক সেদিক। পরিবার আর প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বাবা মা কাজে গেলেই সন্দীপ সকলকেই বিরক্ত করে। সে জন্যই তার ছেলের পায়ে বেড়ি পড়াতে বাধ্য হয়েছেন সন্দীপের বাবা মা।
হ্যাঁ। অনেক ডাক্তার বদ্যি করেও সন্দীপকে সুস্থ করতে পারেনি তার বাবা মা। সুস্থ করতে নাকি অনেক টাকার দরকার। সে জন্য পরিজন প্রতিবেশীরাও চান সন্দীপের চিকিত্সায় এগিয়ে আসুক প্রশাসন। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারটির পাশে দাঁড়াক সরকার। প্রশাসনের আশ্বাসে আশার আলো দেখছে সন্দীপের পরিবার। আশার আলো দেখছে আমলাবেড়া।