পঞ্চায়েত ভোট: নতুন করে অনিশ্চয়তা তুঙ্গে

পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা। কেন্দ্রীয় বাহিনী মিলছে না বলে, কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য। আলোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পর্যাপ্ত বাহিনী না পেলে ভোট করা যাবে কিনা, বিবেচনা করছে কমিশন। সোমবার এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন  রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পান্ডে। 

Updated By: Jun 11, 2013, 08:54 PM IST

পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা। কেন্দ্রীয় বাহিনী মিলছে না বলে, কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য। আলোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পর্যাপ্ত বাহিনী না পেলে ভোট করা যাবে কিনা, বিবেচনা করছে কমিশন। সোমবার এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন  রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পান্ডে। 
ফের অনিশ্চয়তার মুখে পঞ্চায়েত ভোট। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বাহিনী নিয়ে সোমবার দুপুরে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিসের ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বাহিনী সমস্যা মেটাতে প্রথম দফায় যে নয় জেলায় ভোট হওয়ার কথা তা দুভাগে ভাগ করার প্রস্তাব দেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাঁদের প্রস্তাব ছিল, প্রথম দফায় পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় ভোট হোক।
দ্বিতীয় দফায় ভোট হোক উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও বর্ধমানে।  কিন্তু ওই প্রস্তাব খারিজ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে কেন্দ্রের কাছে তিনশো কোম্পানি বাহিনী চেয়েও পায়নি রাজ্য। তিনশো কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে ফের কেন্দ্রকে চিঠি দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠানোর নির্দেশও দেন তিনি। পরে রাজ্যের পক্ষ থেকে কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, কেন্দ্রের কাছ থেকে বাহিনী চেয়েও পাওয়া যায়নি। অন্য রাজ্য থেকে বাহিনী চাওয়া হলেও এখনও কোনও উত্তর আসেনি। এই চিঠি কমিশনের দফতরে পৌঁছনোর পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জানান, পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে আলোচনায় বসবেন তাঁরা।
পর্যাপ্ত বাহিনী না পাওয়া গেলে কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেবে তা স্পষ্ট নয় নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে। প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বাহিনী পাওয়া যাবে না জেনেও কেন্দ্রকে ফের চিঠি দেওয়ার নির্দেশ আসলে মুখ্যমন্ত্রীর কৌশল। ওই চিঠি দেখিয়ে সরকার আদালতে বলতে পারে, আপ্রাণ চেষ্টা করেও বাহিনী পাওয়া যায়নি।  তারপরেও  কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বাহিনী না পাওয়ায় পঞ্চায়েত আইনের ১৩৭ ধারা অনুযায়ী ভোট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারে কমিশন। ফলে সব মিলিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তার মধ্যে পঞ্চায়েত ভোটপর্ব।  

.