সবং কাণ্ডে গ্রেফতার ছাত্র পরিষদ নেতা পল্টু ওঝা
সবং কলেজে ছাত্র খুনের ঘটনায় এ বার গ্রেফতার হলেন এক ছাত্র পরিষদ নেতা। পল্টু ওঝা নামে ওই ছাত্রকে আজ মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয়। পুলিস দশ দিন হেফাজতে চাইলেও আদালত ছ-দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছে। ছাত্র পরিষদ সমর্থক কৃষ্ণপ্রসাদ জানার মৃত্যুর জন্য ছাত্র পরিষদই দায়ী বলে ইঙ্গিত করেছিলেন পুলিস সুপার। ঘটনার তেরো দিন পর, খুনের অভিযোগে পল্টু ওঝা নামে এক ছাত্র পরিষদ নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিস। প্রাক্তন-বর্তমান মিলিয়ে সবং কলেজের আট ছাত্রকে পুলিস সমন পাঠায়। হাজিরা দেন পাঁচ জন। পুলিসের দাবি,
সবং কলেজের সঙ্গে যুক্ত পাঁচ ছাত্র পরিষদ সমর্থককে জেরা করে পল্টু ওঝার নাম পাওয়া যায়। সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গেছে তাঁকে। বুধবার রাতে সবংয়ের বাড়ি থেকে পল্টু ওঝাকে তুলে আনে পুলিস। কোতোয়ালি থানায় দীর্ঘক্ষণ জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পল্টু ওঝার বিরুদ্ধে তিনশো দুই ধারায় খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিস। পুলিসের দাবি, কৃষ্ণপ্রসাদ জানার খুনের পিছনে পল্টু ওঝাই দায়ী। প্রতিশোধ নিতেই কৃষ্ণপ্রসাদ জানাকে খুন করা হয়।
ঘটনার দিনই তিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থককে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। এখন, পল্টু ওঝার গ্রেফতারের পর অন্য প্রশ্ন উঠছে। পল্টু ওঝাই যদি দোষী হন তা হলে যথেষ্ট তদন্তের আগেই তিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থককে কেন গ্রেফতার করা হল?
আর, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্যদের গ্রেফতার যদি ঠিক হয় তা হলে পল্টু ওঝাকে ধরা হল কোন যুক্তিতে?