বারাসতে ফের শ্লীলতাহানি
বারাসতে ফের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটল। বারাসতের কাজিপাড়ায় আজ এক কিশোরীকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। ওই কিশোরী প্রতিবাদ করায় তাঁকে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, স্থানীয় পাটবাগানে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় মানুষ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। সেসময় দুষ্কৃতীরা তাদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের তত্পরতায় ওই কিশোরিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বারাসতে ফের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটল। বারাসতের কাজিপাড়ায় আজ এক কিশোরীকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। ওই কিশোরী প্রতিবাদ করায় তাঁকে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, স্থানীয় পাটবাগানে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় মানুষ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। সেসময় দুষ্কৃতীরা তাদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের তত্পরতায় ওই কিশোরিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই কিশোরীর মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে জানা গেছে। বারসত থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। ঘটনার বেশ কয়েক ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পর ও দোষীদের চিহ্নিত করা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস। যদিও যেখানে কিশোরী নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে সেখান থেকে বারাসত থানা মাত্র এক কিলোমিটারের মধ্যে।
প্রসঙ্গত,এর আগে বেশ কয়েকাবার শ্লীলতাহানির ঘটনায় সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে বারাসাতের নাম। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ মাঝ রাতে বাড়ী ফেরার পথে বারাসত জেলা শাসকের বাড়ির সামনে আক্রান্ত হন রিঙ্কু দাস ও তাঁর ভাই রাজীব দাস। দুষ্কৃতীরা দিদিকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করলে, বাধা দিতে যায় ভাই রাজীব। প্রতিবাদ করায় প্রাণ দিয়ে মাশুল গুনতে হয়েছিল ষোল বছরের ওই ছাত্রকে। পুলিসের কাছে সাহাজ্যের প্রার্থণা করেও জেলাশাসকরে প্রহরায় থাকা পুলিস কর্মীরা এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ করেন রিঙ্কু। এর পর এবছর ২৭ জুলাই, রাত ৯টা নাগাত টিউশন সেরে বাড়ী ফেরার সময় বারাসত স্টেশন চত্তরে শ্লীলতাহানির শিকার হন এক স্কুল ছাত্রী। ওই পড়ুয়ার বাবা প্রতিবাদ করায় অপরাধীরা তাঁকে মারধর করে। ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ছাত্রীর পোষাক রুচিকেই দায়ী করেন। বিধায়কের এই ধরণের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বারাসতে বারবার কেন এই ধরণের অপরাধ ঘটছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেইসঙ্গে প্রশাসনের তরফে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া সত্তেও শ্লীলতাহানি রুখতে অপারগ পুলিস।