বছর ঘুরেও ক্ষতিপূরণ সেই তিমিরেই
কেটে গেছে গোটা একটা বছর। একবছর আগের এই দিনটাতেই বিষাক্ত মদ কেড়ে নিয়েছিল ১৭৩ জনের প্রাণ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংগ্রামপুর, মগরাহাট, মন্দিরবাজার এলাকাগুলি গ্রাস করেছিল স্বজনহারানোর বেদনা। গ্রেফতার হয়েছে বিষ মদ তৈরির পাণ্ডা খোঁড়া বাদশা সহ বেশ কয়েকজন।
কেটে গেছে গোটা একটা বছর। একবছর আগের এই দিনটাতেই বিষাক্ত মদ কেড়ে নিয়েছিল ১৭৩ জনের প্রাণ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংগ্রামপুর, মগরাহাট, মন্দিরবাজার এলাকাগুলি গ্রাস করেছিল স্বজনহারানোর বেদনা। গ্রেফতার হয়েছে বিষ মদ তৈরির পাণ্ডা খোঁড়া বাদশা সহ বেশ কয়েকজন। এসেছে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সাহায্যের সরকারি প্রতিশ্রুতি। কিন্তু অভিযোগ বছর ঘুরলেও মেলেনি সরকারি সাহায্য।
২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সংগ্রামপুর, মগরাহাট, মন্দিরবাজার, ধামোয়ায় বিষ মদে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে একে একে ১৭৩ জন। মৃতদের সত্কারে ১০ হাজার টাকা সাহায্য করে জেলা পরিষদ। মৃত ব্যক্তিদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বছর ঘুরলেও এখনও সরকারি সাহায্যের সে টাকা অনেকেই পাননি বলে অভিযোগ।
সংগ্রামপুর রেলকলোনির পাশে পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনভাই নাসিরুদ্দিন, সফিউল ও হাসিবুল। বিষ মদ কেড়ে নেয় নাসিরুদ্দিন ও সফিউলের প্রাণ। চোখ নষ্ট হয়ে গেছে হাসিবুলের। পা দুটিও নষ্ট। অভিযোগ এখনও মেলেনি সরকারি সাহায্যের টাকা। অভাবে বন্ধ চিকিত্সা। সংসারের হাল ধরেছেন স্ত্রীরা। সরকারি প্রতিশ্রুতির টাকা কবে মিলবে তা জানা নেই। তাই এখন অভাবকে সঙ্গি করেই দিন কাটাচ্ছেন স্বজনহারদের আত্মীয়রা।