পুলিস কেস ডায়েরি জমা না দেওয়ায় জামিন পেলেন না সাত্তোরকাণ্ডের নির্যাতিতা
সাত্তোরকাণ্ডে কেস ডায়েরিই জমা দিল না পুলিস। ফলে বুধবারও পুলিসকে বোমা মারার মামলায় জামিন পেলেন না সাত্তোরকাণ্ডের নির্যাতিতা।
ওয়েব ডেস্ক: সাত্তোরকাণ্ডে কেস ডায়েরিই জমা দিল না পুলিস। ফলে বুধবারও পুলিসকে বোমা মারার মামলায় জামিন পেলেন না সাত্তোরকাণ্ডের নির্যাতিতা।
সাত্তোরের তৃণমূল কার্যালয়ে বোমাকাণ্ডে শনিবার নির্যাতিতাকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিস বিস্ফোরক আইনে মামলা করে । জামিন চেয়ে সিউড়ি আদালতের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। বুধবার মামলার কেস ডায়েরি জমা দেওয়া নির্দেশ দেন CJM। কিন্ত, অভিযুক্তদের আরও জেরা করার দরকার এই যুক্তিকে এদিন কেস ডায়েরি জমা দেয়নি পুলিস। গোটা বিষয়টি ষড়যন্ত্র, দাবি অভিযুক্তের আইনজীবীর।
শনিবার বিকেল ৫টায় নির্যাতিতাকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে পেশ করা হয় রবিবার সকাল ১০টায়। ১৭ ঘণ্টা পুলিসি হেফাজতে থাকা সত্ত্বেও কেন জেরা করা হয়নি অভিযুক্তকে?
নির্যাতিতার বিরুদ্ধে যেসব ধারায় মামলা করা হয়েছে তার পিছনেও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করছেন আইনজীবী। সাধারণ হাত বোমার ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৯(B)(২) ধারায় অর্থাত্ এক্সপ্লোসিভ অ্যাক্ট-এ মামলা হয়।
এই ধারা অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি বিস্ফোরক তৈরি,আমদানি বা রফতানির সঙ্গে যুক্ত থাকলে বা ব্যবহার করলে তার সর্বোচ্চ ৩ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে এক্ষেত্রে মামলার বিচার করতে পারেন ম্যাজিস্ট্রেট
অভিযুক্তদের আইনজীবীর আরও দাবি, পরিকল্পনা অনুযায়ী লঘু অপরাধে অত্যন্ত গুরু ধারা প্রয়োগ করেছে পুলিস।
নির্যাতিতা ও বাকিদের বিরুদ্ধে এক্ষেত্রে (৩)(৪) ধারা অর্থাত্ এক্সপ্লোসিভ সাবস্টেন্স অ্যাক্ট-এ মামলা করা হয়েছে। অত্যন্ত কঠোর এই ধারা অনুযায়ী, যদি কেউ বেআইনিভাবে এমন কোনও বিস্ফোরক ব্যবহার করে যাতে জীবনহানি ও সম্পত্তির বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে তবে, যাবজ্জীবন সাজা পর্যন্ত হতে পারে এই মামলার বিচার করতে পারেন একজন বিচারক।
এছাড়াও, অত্যন্ত কঠোর এই ধারার ক্ষেত্রে জামিনের শুনানি করা একজন মাজিস্ট্রেটের পক্ষে অসুবিধাজনক। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুলাই।