হাবড়াকাণ্ডের নতুন তথ্যে প্রশ্নের মুখে জেলাশাসকের ভূমিকা

হাবড়াকাণ্ডে নয়া মোড়। জেলাশাসক ও পুলিস সুপারের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে দড়ি টানাটানির জেরেই কি বিডিও-র অভিযোগ নিতে টালবাহানা করেছিল পুলিস? প্রশাসন সূত্রে তেমনই ইঙ্গিত মিলছে। প্রশ্নের মুখে জেলাশাসকের ভূমিকাও। জেলা প্রশাসনের দুই মাথা। জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল ও পুলিস সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী। দুই শীর্ষকর্তার মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে কাজিয়া। তারই জেরে হাবড়া কাণ্ডে অভিযোগ নিতে গড়িমসি পুলিসের। অন্তত তেমনই গুঞ্জন প্রশাসনের অন্দরমহলে।

Updated By: Apr 2, 2014, 11:26 PM IST

হাবড়াকাণ্ডে নয়া মোড়। জেলাশাসক ও পুলিস সুপারের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে দড়ি টানাটানির জেরেই কি বিডিও-র অভিযোগ নিতে টালবাহানা করেছিল পুলিস? প্রশাসন সূত্রে তেমনই ইঙ্গিত মিলছে। প্রশ্নের মুখে জেলাশাসকের ভূমিকাও। জেলা প্রশাসনের দুই মাথা। জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল ও পুলিস সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী। দুই শীর্ষকর্তার মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে কাজিয়া। তারই জেরে হাবড়া কাণ্ডে অভিযোগ নিতে গড়িমসি পুলিসের। অন্তত তেমনই গুঞ্জন প্রশাসনের অন্দরমহলে।

প্রশাসনিক মহলে শাসকদলের প্রিয়পাত্র বলে পরিচিত পুলিস সুপার। অভিযোগ, সেই সুসম্পর্কের বলে প্রায়ই জেলাশাসককে টপকে প্রশাসনের রাশ হাত রাখতে চান তিনি। এখান থেকেই শুরু সংঘাতের। দু হাজার এগারোয় পালাবদলের পর নদিয়া থেকে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের দায়িত্বে নেন দু হাজার চার ব্যাচের আইএস অফিসার সঞ্জয় বনসল। তাঁর মতো কম অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আইএস উত্তর ২৪ পরগনার মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলার দায়িত্ব পাওয়ায় অবাক হয়েছিলেন প্রশাসনের শীর্ষকর্তারাও। দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকমাস পরই বনসলের উদ্যোগে রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অথরিটিতে জাল রেজিস্ট্রেশন চক্র ধরা পড়ে। তদন্তে উঠে আসে চক্রের সঙ্গে শাসকদল ও পুলিসের একাংশের ঘনিষ্ঠতার কথা। এরপরই পুলিসের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের সংঘাত শুরু হয় যা চরমে ওঠে তন্ময় রায়চৌধুরী এসপি হওয়ার পর।

ছাব্বিশে মার্চ হেনস্থা ঘটনার পর বিডিও থানায় অভিযোগ জানানোর সঙ্গে সঙ্গে লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন জেলাশাসককেও । জেলাশাসকের দাবি, তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিসকে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। কিন্তু, তারপরও পুলিস ব্যবস্থা নিতে টালবাহানা করে। প্রশাসনিক মহলের অনুমান, পুলিস সুপারের সঙ্গে জেলাশাসকের সংঘাত যেমন একটা কারণ, তেমনই পুলিস সুপারের শাসকদলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও, ব্যবস্থা নিতে টালবাহানার পিছনে অন্যতম বড় কারণ হতে পারে। এমনকি, হাবড়াকাণ্ডের পরে জেলাশাসক এসডিও ও বিডিওদের বৈঠকে এধরণের ঘটনায় পুলিসের আগে জেলাশাসককে জানানোর যে পরামর্শ দিয়েছেন, তাতে পরোক্ষে পুলিসের ওপর তাঁর অনাস্থাই প্রকাশ পেয়েছে বলে মত প্রশাসনিক মহলে। তবে, প্রশ্নের মুখে জেলাশাসকের ভূমিকাও। পুলিসকর্তারা বলছেন বিডিও প্রথম যে অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন যাতে তৃণমূল বিধায়কের নাম ছিল, সেটি জেলাশাসককেও পাঠিয়েছিলেন অনুমোদনের জন্য। সেদিন বিকেলেই তিনি দ্বিতীয় অভিযোগপত্র লেখেন সেখানে বিধায়কের নাম বাদ যায়। পুলিসকর্তাদের অভিযোগ, জেলাশাসকের চাপেই বিডিও বিধায়কের নাম বাদ দিয়েছিলেন। কিন্তু, শোরগোল শুরু হতে জেলাশাসক এখন পুলিসের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে নিজের পিঠ বাঁচাতে চাইছেন।
প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসনের দুই কর্তার শাসকদলের ঘনিষ্ঠতাই কি হাবড়া কাণ্ডে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসির কারণ?

.