পাড়ুইকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে নতুন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
সিউড়ি: পাড়ুইকাণ্ডে সাগর ঘোষ নয়, টার্গেটে ছিলেন অনুব্রত-বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা নিমাই দাস।
সিউড়ি: পাড়ুইকাণ্ডে সাগর ঘোষ নয়, টার্গেটে ছিলেন অনুব্রত-বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা নিমাই দাস। চব্বিশ ঘণ্টার কাছে এমনই স্বীকারোক্তি করেছেন অনুব্রত-অনুগামী, সাগর ঘোষখুনে অন্যতম অভিযুক্ত শেখ মোস্তাফা। অন্যদিকে নিমাই দাসের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধিতা করার জন্যই খুনিদের টার্গেটে রয়েছেন তিনি। এঘটনায় সিটের পেশ করা রিপোর্টে প্রশ্ন তোলা হয়েছে পাড়ুই থানার দুই পুলিস অফিসারের ভূমিকায়। তবে সিটের রিপোর্টে তিনি আদৌ সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন নিহত সাগর ঘোষের ছেলে হৃদয় ঘোষ।
বীরভূমের পারুইয়ে সাগর ঘোষ হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ওই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত শেখ মোস্তাফা। চব্বিশ ঘণ্টার প্রতিনিধির কাছে তাঁর দাবি, সাগর ঘোষ নয়, ঘটনার দিন আসলে হামলার টার্গেট ছিলেন অনুব্রত বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা নিমাই দাস।
এরপরেই নিমাই দাসের মন্তব্য, অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধিতা করার জন্যই এখন খুনীদের টার্গেট তিনি। সূত্রের খবর, পারুইকাণ্ডে পেশ করা সিটের রিপোর্টে বলা হয়েছে, একসময় নিমাই দাস এবং শেখ মোস্তাফা দুজনেই ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ। পরে বিরোধিতার করে মোস্তাফার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর টার্গেট হয়ে ওঠেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই ওই এলাকায় শুরু হয় দুষ্কৃতীরাজ। এজন্য পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। তবে শেষ পর্যন্ত পিছু হঠতে বাধ্য হয় মোস্তাফার অনুগামীরা।
নিমাই দাস বলেন,এলাকা বাসীরা প্রতিরোধে নামে, দুষ্কৃতীরা বাইক বন্দুক ফেলে পালায়।
এরপর নিমাই দাসকে সরিয়ে দিতে দুষ্কৃতীদের ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয় বলেও খবর সিট সূত্রে।। বিপদ বুঝে এলাকা ছাড়েন নিমাই দাস। নিমাই দাসকে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত টার্গেট করা হয় সাগর ঘোষকেই।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাতে হামলা হয় সাগর ঘোষের ওপর। সিট সূত্রে খবর, পারুই থানার দুই পুলিস অফিসার নীরব থেকে মদত দিয়েছেন, এমন রিপোর্টও উঠে এসেছে সিটের তদন্তে। তবে কারা এই খুনের জন্য টাকা দিয়েছে,কারাই বা ওই টাকা পেয়েছে, সেবিষয়ে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি সিট রিপোর্টে। সিটের রিপোর্টে আদৌ সম্তুষ্ট নন নিহত সাগর ঘোষের ছেলে হৃদয় ঘোষ। রিপোর্ট সম্পর্কে এদিন হৃদয় ঘোষের পরিবারের তরফে মত জানানোর কথা ছিল সিজেএম আদালতে। কিন্তু আদালতে হৃদয় ঘোষ জানান, যেহেতু এই ঘটনায় হাইকোর্টে মামলা চলছে, তাই মতামত জানানোর জন্য তাঁদের আরও সময় দরকার।