গোয়ালপোখরে ধর্ষণের এখনও নিষ্ক্রিয় পুলিস
উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে ধর্ষণ ও শিশুহত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। মৃত শিশুর বাবাকে বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দিয়েছে ইসলামপুর আদালত। ২৭ মার্চ শিশুর দেহ উদ্ধার হলেও, ময়নাতদন্তে দেরি হওয়ায় তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে। অন্যদিকে, যে ধর্ষণের ঘটনাকে ঘিরে এই গোটা বিতর্কের সূত্রপাত, সেই মামলায় এখনও অধরা বেশিরভাগ অভিযুক্ত।
উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে ধর্ষণ ও শিশুহত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। মৃত শিশুর বাবাকে বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দিয়েছে ইসলামপুর আদালত। ২৭ মার্চ শিশুর দেহ উদ্ধার হলেও, ময়নাতদন্তে দেরি হওয়ায় তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে। অন্যদিকে, যে ধর্ষণের ঘটনাকে ঘিরে এই গোটা বিতর্কের সূত্রপাত, সেই মামলায় এখনও অধরা বেশিরভাগ অভিযুক্ত।
গোয়ালপোখরে এক মহিলাকে গণধর্ষণ ও তাঁরই দেড় বছরের ভাইপোর হত্যার ঘটনা খবরের শিরোনামে উঠে আসতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। গত কয়েক সপ্তাহ যাবত্ জেলে বন্দি ওই শিশুর বাবাকে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের বক্তব্য, মৃত শিশুর সত্কারের জন্য এই অন্তর্বর্তী জামিনের ব্যবস্থা।
মৃত শিশুর ময়নাতদন্ত নিয়েও প্রশাসনের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। ২৭ মার্চ উদ্ধার হয়েছিল দেড় বছরের ওই শিশুর দেহ। অথচ বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ দিনভর তার ময়নাতদন্ত নিয়ে ধন্ধ জারি ছিল। কেন ইসলামপুর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত না-করে তা দেরি করে শিলিগুড়ি হাসপাতালে পাঠানো হল, সেপ্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি কেউই।
গত বছর সেপ্টেম্বরে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন গোয়ালপোখর থানা এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা। তারপর থেকে শুরু হয়ে যায় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া। গত এগারই মার্চ অভিযুক্তেরা ধর্ষিতার দাদার বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। দাদাকে না-পেয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ওই ব্যক্তির দেড় বছরের শিশুপুত্রকে। অপহরণের অভিযোগ পুলিসকে জানাতে গেলে, পুলিস উল্টে গ্রেফতার করে ধর্ষিতার দাদা তথা শিশুটির বাবাকেই। অভিযোগ, তিনি নাকি ধর্ষণকারীদের মারধর করেছেন। কিন্তু যার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হল, সেই ব্যক্তি এখন কোথায় তার কোনও হদিশই নেই পুলিসের কাছে।
ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ জনের মধ্যে মাত্র একজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিস। আপাতত সেও জামিনে মুক্ত। অন্যদিকে, শিশুহত্যার ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার পর্যন্ত করতে পারেনি পুলিস। এই পরিস্থিতিতে ন্যায়বিচারের জন্য, নিরাপত্তার জন্য তাঁরা কোথায়, কার কাছে যাবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না মৃত শিশুর পরিবার।