পরিযায়ী পাখির ভিড় জমেছে বাঁকুড়ায়
শীতের শুরু হতে না হতেই রাজ্যে আসে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখির ঝাঁক। সাকিন সাইবেরিয়া, পূর্ব ইউরোপ, ইউরেশিয়া এমনকী হিমালয়ের তুষারাবৃত অঞ্চলের শীতের প্রকোপ এড়াতে কয়েক মাসের জন্য ঠাঁই নেয় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে।
শীতের শুরু হতে না হতেই রাজ্যে আসে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখির ঝাঁক। সাকিন সাইবেরিয়া, পূর্ব ইউরোপ, ইউরেশিয়া এমনকী হিমালয়ের তুষারাবৃত অঞ্চলের শীতের প্রকোপ এড়াতে কয়েক মাসের জন্য ঠাঁই নেয় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে।
বাঁকুড়ায় একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ঝিলে বেশ কয়েক বছর ধরে আসছে পরিযায়ী পাখিরা। শুধু গত বছর খরার কারণে ওই ঝিলে শীতের অতিথিদের তেমন দেখা মেলেনি। এবার সেই সমস্যা নেই। তাই ফের কলেজের ঝিলে ঝাঁক বেঁধে এসেছে ভিনদেশি অতিথিরা।
বাঁকুড়া শহর থেকে পোয়াবাগানের দুরত্ব সামান্য। গত কয়েক বছর ধরেই এখানে পরিয়ায়ী পাখির দল এসে বাসা বাঁধত স্থানীয় একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ঝিলে। চলতি মরশুমে শীত পড়তে না পড়তেই জেলায় এসে হাজির ভিনদেশী অতিথিরা। হিমালয়ের নানা উপত্যকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জলাশয় পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এই হাঁসগুলির নাম লেসার হুইসলিং টিল। বাংলায় বলে ছোট সরাল।
তবে নাম যাই হোক আপাতত এই পরিযায়ী পাখিদের দেখতে কলেজ ক্যাম্পাসে ভিড় জমাচ্ছেন ছোট থেকে বড় সকলেই। পরিযায়ী পাখিগুলির সংরক্ষণের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষও। ঝিলের কাছাকাছি যেতে বারণ করা হয়েছে ছাত্রছাত্রী এমনকি শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও। পাখিগুলির বাসস্থান হিসেবে ঝিলের চারদিকে আরও বেশী করে গাছ লাগানরও ব্যবস্থা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।