জেলাবিন্যাসের জট কেটে পঞ্চায়েত ভোট তিন দফায়
পঞ্চায়েত ভোটের সম্ভাব্য সূচি তৈরি করল রাজ্য। মহাকরণের প্রশাসনিক বৈঠকে তৈরি হল সূচি। প্রথমটিতে ২৪ জুন ২৮ জুন ও ২ জুলাই ভোটের প্রস্তাব। সেক্ষেত্রে গণনা ৪ জুলাই। দ্বিতীয় প্রস্তাবে জুনের ২৬, ৩০ ও ৩ জুলাই তারিখ ভোটের প্রস্তাব। সেক্ষেত্রে গণনা ৬ জুলাই।
কমিশনের দাবি মেনে নিল রাজ্য সরকার। জেলাবিন্যাস নিয়ে সমঝোতা হল যুযুধান দু পক্ষের। কাল, শুক্রবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে রাজ্য সরকার। ভোট হবে তিন দফায় ২, ৬, ১০ জুলাই। ভোট গণনা ১০ জুলাই।
ভোটের দিন নিয়ে কমিশনের প্রস্তাব মানলেও জেলাবিন্যাস নিয়ে আজও কোনও সমঝোতায় পৌঁছতে পারছিল না দুপক্ষ।
আজ বৈঠকে কমিশনের প্রস্তাব ছিল, প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা এবং মুর্শিদাবাদে ভোট করা হোক। দ্বিতীয় দফায় নদিয়া, দুই চব্বিশ পরগনা, হুগলি এবং বীরভূমে ভোটের প্রস্তাব দেয় কমিশন। তৃতীয় তথা শেষ দফায় পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বর্ধমান, পুরুলিয়া ও হাওড়ায় ভোট করার প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু এই বিন্যাস মানতে নারাজ ছিল সরকার। তাঁদের পাল্টা প্রস্তাব ছিল, প্রথম দফায় দক্ষিণবঙ্গের আট জেলা এবং মুর্শিদাবাদে ভোট হবে। দ্বিতীয় দফায় জঙ্গলমহলের তিন জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া এবং বীরভূমে ভোট করার প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। এবং তৃতীয় দফায় উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভোটের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অর্থাত্ ভোটের সময় মুর্শিদাবাদ জেলাকে কমিশন ঢোকাতে চাইছে উত্তরবঙ্গে। কিন্তু সরকার দক্ষিণবঙ্গে ঢোকাতে চাইছে এই জেলাকে। স্পর্শকাতর বুথ নিয়েও দু তরফের বিভেদ স্পষ্ট ছিল।
কিন্তু শেষ অবধি পিছু হটল রাজ্য সরকার।