আজও মাওবাদী ভয়ে কাঁটা বাঁকুড়ার বাগডুবি
কেটে গেছে চার বছর। কিন্তু এখনও মাওবাদী সন্ত্রাসের চাদর গা থেকে সরাতে পারেনি বাঁকুড়ার বাগডুবি গ্রাম। পরিত্যক্ত জনবসতিহীন গ্রামের আনাচে কানাচে শুধুই সন্ত্রাসের ছবি।
কেটে গেছে চার বছর। কিন্তু এখনও মাওবাদী সন্ত্রাসের চাদর গা থেকে সরাতে পারেনি বাঁকুড়ার বাগডুবি গ্রাম। পরিত্যক্ত জনবসতিহীন গ্রামের আনাচে কানাচে শুধুই সন্ত্রাসের ছবি।
বাঁকুড়ার বারিকুল থানার অর্ন্তগত জঙ্গল আর পাহাড় ঘেরা আদিবাসী গ্রাম বাগডুবি। দীর্ঘ চরাই উতরাই আর ভাঙাচোরা পাথুরে পথ পেরিয়ে পৌঁছতে হয় গ্রামে। একসময়ের কাঁচা রাস্তা দীর্ঘদিন অব্যবহারের ফলে আজ ঝোপঝাড়ের দখলে। গ্রামের ভিতর এদিক ওদিক ছড়িয়ে পরিত্যক্ত কাঁচা বাড়ি। রয়েছে একটি প্রাথমিক স্কুলও। চার বছর কেটে গেছে। কিন্তু এখনও স্পষ্ট স্কুলের দরজায় লাগানো বুলেটের ক্ষতটা। আর গ্রামবাসীদের স্মৃতিতে এখনও টাটকা মাওবাদী সন্ত্রাসের আতঙ্ক।
গ্রামের বেশিরভাগ বাসিন্দাই সিপিআইএম সমর্থক ছিলেন। এলাকায় মাওবাদী কাজকর্মে বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল বাগডুবি। তাই গোটা গ্রামটাকেই নিশানা করেছিল মাওবাদীরা। একের পর এক হামলা গ্রামছাড়া করেছিল অনেককে। এরপর ঘটে যায় দুহাজার দশের ভয়াবহ ঘটনা। গ্রামে হামালা চালিয়ে সিপিআইএম কর্মী সরস্বতী হেমব্রম ও তাঁর মা কমলা হেমব্রমকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারে মাওবাদীরা। ওই ঘটনার পর গ্রাম ছাড়েন সবাই। গ্রামের জন্য মন কাঁদলেও সন্ত্রাসের সেই ছবি স্মৃতিতে রেখে আর ফিরতে চাননা গ্রামবাসীরা।এরপর থেকে আর কেউই বাগডুবি মুখো হননি। জনশূন্য হয়ে দাঁড়িয়ে বাগডুবি।