উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা
শিলিগুড়ির কাছে চম্পাসারির মিলনমোড় এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা। সেখানে মহানন্দা নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
শিলিগুড়ির কাছে চম্পাসারির মিলনমোড় এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা। সেখানে মহানন্দা নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। মানস ভূঁইঞা বাঁধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। এরপর পূর্ব ও পশ্চিম ধানতলা এলাকাতাতেও যান তিনি। মহানন্দা নদীর বাঁধ ভেঙে শিলিগুড়ি পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জলের তোড়ে পলাশগ্রামে পাকা সেতু ভেঙে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শিলিগুড়ির পুরনিগমের তরফে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মিলন মোড়, দেবীডাঙার বানভাসি মানুষের জন্য স্থানীয় স্কুলে ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে জল বেড়েছে মহানন্দা, বালাসন, তোর্সা, তিস্তা নদীতে। তোর্সা ও তিস্তায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জলঢাকা, রায়ঢাক, সঙ্কোশ নদীতে জারি রয়েছে হলুদ সংকেত। অন্যদিকে, ভূটান পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টিতে, জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকের বন্যা পরিস্থিতিও আশঙ্কাজনক। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ বানারহাটের মরাঘাট, হাতিনালা এলাকা। জেলার ছটি জায়গায় ত্রাণশিবির খুলেছে প্রশাসন। তাতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় দুই হাজার মানুষ। কুচি ডায়না নদীর জলোচ্ছ্বাসে নাগরাকাটা ব্লকের খেরকেটা বস্তির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী সেতু বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জেলার নদীর তীরবর্তী এবং নীচু এলাকার বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে প্রশাসন।