সিঙ্গাপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী শিল্প আনবেন, আশায় নৈহাটি

হাত বাড়ালেই তৈরি শিল্পতালুক। অফুরান বিদ্যুত্‍, সুলভ যোগাযোগ, দক্ষ শ্রমিক, কী নেই সেখানে! জমি দিতেও তৈরি চাষিরা। তবু এতদিনে নৈহাটির ঋষি বঙ্কিম শিল্পতালুকে তেমন কোনও শিল্প গড়ে ওঠেনি।  মুখ্যমন্ত্রীর  সিঙ্গাপুর সফরের সুবাদে এবার এখানেও শিল্প আসবে। বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ। এই আশাতেই এখন বুক বাঁধছেন বীজপুর, নৈহাটির মানুষ।

Updated By: Aug 20, 2014, 08:31 PM IST

নৈহাটি: হাত বাড়ালেই তৈরি শিল্পতালুক। অফুরান বিদ্যুত্‍, সুলভ যোগাযোগ, দক্ষ শ্রমিক, কী নেই সেখানে! জমি দিতেও তৈরি চাষিরা। তবু এতদিনে নৈহাটির ঋষি বঙ্কিম শিল্পতালুকে তেমন কোনও শিল্প গড়ে ওঠেনি।  মুখ্যমন্ত্রীর  সিঙ্গাপুর সফরের সুবাদে এবার এখানেও শিল্প আসবে। বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ। এই আশাতেই এখন বুক বাঁধছেন বীজপুর, নৈহাটির মানুষ।

কাছেই কল্যাণী-দমদম হাইওয়ে। শহর থেকে  দূরে নৈহাটিতে শিল্পতালুক গড়ে ওঠে বাম আমলেই। কিন্তু একাত্তর একরের সেই তালুকে দুটির বেশি কারখানা হয়নি। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই শিল্পতালুকে শিল্প টানতে সক্রিয় হয়। এই তালুকেরই একাংশ চিহ্নিত করা হয় ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং ক্লাস্টার হিসাবে। সেখানে বৈদ্যুতিন শিল্প টানার তোড়জোড়ের মাঝেই শিল্পসফরে সিঙ্গাপুরে মুখ্যমন্ত্রী। এলাকার যুবক, শ্রমিকরা তাই আশাবাদী।

শিল্পতালুকে মাথা তুলেছে প্লাস্টিকের আসবাব ও ইঞ্জিনিয়ারিং যন্ত্রাংশের কারখানা। সেখানে কাজও পেয়েছেন কিছু মানুষ। দেখেশুনে এ তল্লাটের খাসবাটি, মালঞ্চ এলাকার চাষিরাও এখন শিল্পের জন্য  জমি দিতে তৈরি। চাষবাসের নানা সমস্যা এড়িয়ে শিল্পে কাজ চান তাঁরা।

এলাকায় বিদ্যুত্‍ আর রাস্তাঘাটের মতো পরিকাঠামোও ঢেলে সাজানো হচ্ছে।বড় না হোক ছোট শিল্প নিয়ে তাই আশাবাদী শিল্পমহল। সিঙ্গাপুর টু নৈহাটি। ভৌগলিক দূরত্ব কয়েক যোজন। বিনিয়োগ বার্তায়  এই দুই শহর শেষমেশ কত কাছাকাছি আসে, এখন সেটাই দেখার।

 

.