ফুরফুরা শরিফে মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করে নিলেন সংখ্যালঘু উন্নয়নে অনেক কাজ বাকি
ফুরফুরা শরিফে মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করে নিলেন সংখ্যালঘু উন্নয়নে অনেক কাজ এখনও বাকি। সেই কাজ সেরে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কৌশলে ভোট চাইলেন তিনি। আর মুখ্যমন্ত্রীকে ত্বহা সিদ্দিকি বোঝাতে চাইলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ অটুট।
ওয়েব ডেস্ক: ফুরফুরা শরিফে মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করে নিলেন সংখ্যালঘু উন্নয়নে অনেক কাজ এখনও বাকি। সেই কাজ সেরে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কৌশলে ভোট চাইলেন তিনি। আর মুখ্যমন্ত্রীকে ত্বহা সিদ্দিকি বোঝাতে চাইলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ অটুট। ক্ষমতায় ফিরতে চাইলে মন রাখতে হবে ফুরফুরার। মুখ্যমন্ত্রী তখনও আসেননি। বলা শুরু করে দিয়েছেন ত্বহা সিদ্দিকি। গোড়াতেই বুঝিয়ে দিলেন রাজ্য সরকারের ওপর খুব একটা সন্তুষ্ট নন তিনি। সন্তুষ্টই যদি না হবেন তাহলে ফুরফুরায় মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকলেন কেন ত্বহা সিদ্দিকি? রাজনৈতিক মহল বলছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফুরফুরায় যাওয়ার সুযোগ ছাড়েননি মমতা। আর, ভোটের আগে শাসকদলের সঙ্গে দর কষাকষির রাস্তাটা খোলা রাখতে চান ত্বহা।
স্বীকৃত নয় এমন মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতনের দায়ভার যাতে রাজ্য নেয়, সে জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা। মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু স্পষ্ট জানিয়ে দেন, স্বীকৃতি দিতে পারেন, বেতন নয়। সংসারে টানাটানির জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করে এদিন তিনি মেনে নেন, সংখ্যালঘু উন্নয়নে অনেক কাজ বাকি।
আরাবুল ইসলাম তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলে দিনকয়েক আগে ইঙ্গিত দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন, ফুরফুরা শরিফের সভায় হাজির ছিলেন আরাবুল। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে হাত নাড়লেও কাছে গিয়ে কথা বলার সুযোগ অবশ্য পাননি।