পুলিসের জালে মালখান সিং
দীর্ঘদিন থেকেই পুলিসের চোখে ধূলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন মালখান। গতকাল রাতে মোবাইল টাওয়ারের সূত্র ধরে শেষ পর্যন্ত পুলিসের জালে ধরা পড়ে যায় মালখান সিং।
২০০০ সালে প্রথমবার কেএলও প্রশিক্ষণ শিবিরের চার নম্বর ব্যাটেলিয়ানে যোগ দেন মালখান সিং।
ডিওয়াইএফআই নেতা শেখর সিংকে গুলি করে হত্যাকরে প্রথমবার অপরাধ জগতে হাতেখড়ি।
২০০৩ সালে প্রথমবার ধরা পড়েন মালখান। ৫ বছরের জন্য জেল হয় তাঁর।
২০০৪ সালে কেএলও দের মূলস্রোতে ফেরানোর উদ্যোগ নেয় বামফ্রন্ট সরকার। সেই সময় মূলস্রোতে ফেরার আবেদন জানানোয় ছেড়ে দেওয়া হয় মালখানকে। এর পর ২ বছর মালখান সিংয়ের কাজকর্মে কোনও অসঙ্গতি ধরা পড়েনি।
২০১০ সালে এসএফআই কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় ফের উঠে আসে মালখান সিংয়ের নাম।
২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মালখান সিংয়ের সঙ্গে শাসক দলের ঘনিষ্টতা নজরে আসে। হবিবপুর বামনগোলা এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে তাঁর পরিচিতিও তৈরি হয়।তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশ নিতেও দেখা যায় তাঁকে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হবিবপুর বামনগোলা এলাকায় ফের মাথা চাড়া দেয় কেএলও কার্যকলাপ। তখনই পুলিসের নজরে আসে কেএলওর সঙ্গে গভীর যোগ রয়েছে মালখানের।
২৫ জুন ২০১৩ সালে গাজোলের বাস স্ট্যান্ডে বোমা বিস্ফোরণ
২৭ ডিসেম্বর ২০১৩ য় হবিবপুরে চলন্ত বাসে গুলি চালানোর ঘটনা নাড়া দিয়ে যায় পুলিস প্রশাসনকে। শুরু হয়ে যায় মালখান সিংকে ধরার তোড়জোড়। এরপর ২০১৪ সালের ৩১ শে মার্চ পুলিসের নাকের ডগা থেকে বেরিয়ে যায় মালখান সিং।
ব্যবসায়ীর থেকে তোলা আদায়, উত্তরবঙ্গের একাধিক নাশকতায় যুক্ত থাকা,খুন ও যড়যন্ত্র সহ মোট নটি ওয়ারেন্ট রয়েছে মালখানের বিরুদ্ধে। জলপাইগুড়ি বিস্ফোরণের পিছনেও এই কেএলও শীর্ষ নেতার হাত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।