সৌমেনের পর এবার মদন, কামদুনি নিয়ে মন্ত্রীদের বাক্যবাণ অব্যাহত
কামদুনির ঘটনায় দুষ্কৃতী ভাড়া করে ধর্ষণের তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। এবার পরিবহণমন্ত্রী মদনমিত্র। কামদুনির নাম টেনে এনে, তিনিও ধর্ষণ নিয়ে যেসব কথা বললেন, এক কথায় তার মানে দাঁড়ায়, যা হচ্ছে, তা সবই সাজানো।
কামদুনির ঘটনায় দুষ্কৃতী ভাড়া করে ধর্ষণের তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। এবার পরিবহণমন্ত্রী মদনমিত্র। কামদুনির নাম টেনে এনে, তিনিও ধর্ষণ নিয়ে যেসব কথা বললেন, এক কথায় তার মানে দাঁড়ায়, যা হচ্ছে, তা সবই সাজানো।
কামদুনিতে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ফরেনসিক রিপোর্ট ছাড়াই অসম্পূর্ণ চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি। তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামের মানুষ। আসল অপরাধীদের আড়াল করতে, সিআইডি তাঁদের কথা শোনেনি বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। তবু মন্ত্রীদের বাক্যবাণ থেমে নেই। রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র প্রকাশ্য জনসভায় দাঁড়িয়ে দাবি করেছিলেন, রাজ্য সরকারের কুত্সা করতেই দুষ্কৃতী ভাড়া করে কামদুনির ঘটনা ঘটিয়েছে বিরোধীরা। ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হওয়ার জন্য মিডিয়াকেও দুষেছিলেন তিনি। রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে মদন মিত্রও কামদুনির নাম নিলেন। তারপর যা যা বলে গেলেন, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর সাজানো তত্ত্বই আবার ফিরে এল।
কলেজ ফেরত এক ছাত্রীকে টেনে গিয়ে গণধর্ষণ। তারপরে শ্বাসরোধ করে খুন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে পা ধরে চিরে ফেলা। পরিত্যক্ত জমির বাইরে নিয়ে গিয়ে খালের ধারে দেহটা ফেলে দেওয়া। গ্রামের মেয়ের এমন পরিণতি কামদুনির মানুষ কিছুতেই ভুলতে পারছেন না। কিন্তু সেই আবেগে বারবার ঘা দিচ্ছেন নেতা মন্ত্রীরা।