শিলিগুড়িতে বোর্ড গঠনে বাধা সরকারের, হাটে হাড়ি ভাঙল কমিশন, আন্দোলনে বামেরা
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় বাধা রাজ্য সরকারই। হাটে হাড়ি ভাঙল নির্বাচন কমিশন। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ফল বেরনোর পরই যত দ্রুত সম্ভব শুরু হয়ে যাওয়ার কথা বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। পঞ্চায়েত আইন তাই বলে। অথচ সবটাই এখনও বিশ বাঁও জলে। বামেদের অভিযোগ, তাঁদের ঘর ভেঙে ক্ষমতা দখল করতেই জেনেবুঝে দেরি করছে সরকার।
ওয়েব ডেস্ক: শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় বাধা রাজ্য সরকারই। হাটে হাড়ি ভাঙল নির্বাচন কমিশন। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ফল বেরনোর পরই যত দ্রুত সম্ভব শুরু হয়ে যাওয়ার কথা বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। পঞ্চায়েত আইন তাই বলে। অথচ সবটাই এখনও বিশ বাঁও জলে। বামেদের অভিযোগ, তাঁদের ঘর ভেঙে ক্ষমতা দখল করতেই জেনেবুঝে দেরি করছে সরকার।
ভোটের ফল- ১০ অক্টোবর
১৬ অক্টোবর- বিধাননগরে শপথ, আসানসোলে হল শপথ গ্রহণ।
-------------------------
বিধাননগর, আসানসোলে সাড়ম্বরে বোর্ড গঠন, শপথ গ্রহণ সারা। ফল বেরনোর এক সপ্তাহের মধ্যেই।
আর শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ! সাতই অক্টোবর ফল প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু আজও সেখানে পরিস্থিতি সেই একই তিমিরে।
অশোক ভট্টাচার্য বলেন, আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে ভোটের ফল কেন দেওয়া হয়নি? এ প্রশ্ন তুলে বুধবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
এরপরই কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, গণনা শেষ হতেই পঞ্চায়েত দফতরকে ফল জানিয়ে দেওয়া হয়।
পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী, ভোটের ফল প্রকাশের পরই যত দ্রুত সম্ভব পঞ্চায়েতের রিটার্নিং অফিসার সেই ফল জানিয়ে দেবেন জেলাশাসক, পঞ্চায়েত দফতর এবং নির্বাচন কমিশনকে।
এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ফল ঘোষণা করবে পঞ্চায়েত দফতর।
১৯৭৫-এর পঞ্চায়েত গঠন রুল অনুযায়ী, গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ২১ দিনের মধ্যে বোর্ড গঠন করতে হবে।
আইনে বলা আছে, যত দ্রুত সম্ভব গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু কত দ্রুত? আইন এব্যাপারে নীরব। বিরোধীদের অভিযোগ, আইনের এই ফাঁক ব্যবহার করেই ইচ্ছে করে ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। সময় কিনছে শাসক দল। উদ্দেশ্য, ঘোড়া কেনাবেচা করে ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি দখল করা।
এই নিয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ-আন্দোলনও শুরু করেছে বামেরা। শাসক দলের তরফে খাড়া করা হচ্ছে যুক্তি। গত দেড় বছর ধরে মহকুমা পরিষদের অস্তিত্ব নেই শিলিগুড়িতে। কাজ শিকেয়। শেষপর্যন্ত ভোট হয়েছে। কিন্তু এবার চলছে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি। ভুক্তভোগী শুধুই আমজনতা।
।