জঙ্গি হানায় নিহত স্বামীর সঙ্গে অন্ত্যেষ্টি স্ত্রীরও

একজন শ্রীনগরের হায়দারপোরায় জঙ্গি হামলায় শহীদ হয়েছেন। অন্যজন সেই শোকে বাঁকুড়ার তালডাংড়া থানার পাঁচমুড়া গ্রামে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বৃহস্পতিবার সেই দম্পতি ফের মিলিত হলেন শ্মশানে। পাশাপাশি চিতায় দাহ হল নিহত সেনা জওয়ান অদ্বৈত্য নন্দী ও তাঁর স্ত্রী পিউ নন্দীর দেহ। আর বিরল সেই ঘটনার সাক্ষী থাকতে, সেনা ও পুলিস আধিকারিকদের পাশাপাশি, পাথরির শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।

Updated By: Jun 28, 2013, 11:31 AM IST

একজন শ্রীনগরের হায়দারপোরায় জঙ্গি হামলায় শহীদ হয়েছেন। অন্যজন সেই শোকে বাঁকুড়ার তালডাংড়া থানার পাঁচমুড়া গ্রামে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বৃহস্পতিবার সেই দম্পতি ফের মিলিত হলেন শ্মশানে। পাশাপাশি চিতায় দাহ হল নিহত সেনা জওয়ান অদ্বৈত্য নন্দী ও তাঁর স্ত্রী পিউ নন্দীর দেহ। আর বিরল সেই ঘটনার সাক্ষী থাকতে, সেনা ও পুলিস আধিকারিকদের পাশাপাশি, পাথরির শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।
গত সোমবার শ্রীনগরের কাছে হায়দারপোরা এলাকায় সেনাবাহিনীর কনভয় লক্ষ্য করে হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলায় আট জওয়ানের মৃত্যু হয়। তাঁদেরই একজন বাঁকুড়ার তালডাংড়া থানার পাঁচমুড়া গ্রামের অদ্বৈত্য নন্দী। যদিও তাঁর আদি বাড়ি, সিমলাপাল থানার পাথরি গ্রামে। মঙ্গলবার সেই বাড়িতেই পৌঁছোয় মৃত্যু সংবাদ। তারপরই শোকে ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। স্বামী অদ্বৈত্য নন্দীর মৃত্যুসংবাদে বাকশক্তি হারিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী পিউ। মানসিক যন্ত্রণা তাঁকে কুরে কুরে খাচ্ছিল। শেষে সেই রাতেই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পিউ নন্দী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। বুধবার ভোরে মৃত্যু হয় পিউয়ের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কাশ্মীর থেকে বিমানে কলকাতায় পৌঁছয় নিহত জওয়ানের দেহ। দমদম বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে দেহ যায় পাথরির বাড়িতে। কিছুক্ষণ রাখার পর শেষকৃত্যের জন্য অদ্বৈত্য নন্দীর দেহ নিয়ে যাওয় হয় পাথরির শশ্মানে। একইসঙ্গে বাঁকুড়া সম্মিলনি মেডিক্যাল কলেজে থেকে ওই শ্মশানেই নিয়ে যাওয়া হয় স্ত্রী পিউয়ের দেহ। সেনা ও পুলিস আধিকারিকদের উপস্থিতিতে, সামরিক মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় অদ্বৈত্য নন্দীর। আর ঠিক পাশের চিতায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তাঁর পত্নি পিউয়ের। বিরল এই দৃশ্য দেখতে পাথরির শ্মশান ঘাটে হাজির ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।

 

.