গরহাজির অভিযুক্তের আইনজীবী, তাই কামদুনিকাণ্ডের শুনানি পিছিয়ে গেল
কামদুনিতে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় পুলিস কাউকে কাউকে আড়াল করতে চাইছে। কাউকে তুষ্টও করতে চাইছে প্রশাসন। সামগ্রিকভাবে এমনই প্রতিক্রিয়া কামদুনির বাসিন্দাদের। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা কামদুনি। গতকাল বারাসত আদালতে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। চার্জশিটে কেন আনসার আলি ছাড়া এফআইআরে থাকা বাকি তিনজনের নাম নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
কামদুনিকাণ্ডে চার্জশিট নিয়ে শুনানি পিছিয়ে গেল। আজ বারাসত আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে কামদুনি মামলার শুনানি শুরু হয়। গতকাল এই মামলায় অভিযুক্তদের আইনজীবী নিয়োগ করে দেন বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু আজ অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী গরহাজির ছিলেন। এছাড়াও যাবতীয় নথি চান অভিযোগকারীর আইনজীবীরা। সে কারণেই পিছিয়ে দেওয়া হয় শুনানি।
১২ই জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। গতকালই চার্জশিট নিয়ে সিআইডিকে ভর্তসনা করেন বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। যে অসম্পূর্ণ চার্জশিট সিআইডি পেশ করেছে, তা আদৌ চার্জশিট কিনা সে প্রশ্ন তোলেন বিচারক। সিবিআই তদন্তের জন্য হাইকোর্টে মামলা পাঠানো হবে কিনা, তাও জানতে চান তিনি। এছাড়াও সিআইডির কাছে চার্জশিট সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রশ্নের জবাবদিহি চান বিচারক।
এদিকে, কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব ক্ষুব্ধ কামদুনি। আজ কামদুনি মোড় অবরোধ করলেন বাসিন্দারা। কামদুনি মামলায় পুলিস কাউকে কাউকে আড়াল করতে চাইছে। কাউকে তুষ্টও করতে চাইছে প্রশাসন। সামগ্রিকভাবে এমনই প্রতিক্রিয়া কামদুনির বাসিন্দাদের।
গতকাল বারাসত আদালতে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। চার্জশিটে কেন আনসার আলি ছাড়া এফআইআরে থাকা বাকি তিনজনের নাম নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। কামদুনির বাসিন্দাদের প্রশ্ন, ফরেনসিক রিপোর্ট ছাড়া পুলিস কীভাবে সইফুলকেই মূল অভিযুক্ত করছে।