সারা বাংলার প্রাচীন কালীর সন্ধান রইল ২৪ ঘণ্টার পাতায়

সারা বাংলা সেজে উঠেছে দীপাবলি উত্সবে। পাড়ায় পাড়ায় মণ্ডপ। মায়ের আরাধনার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সবাই। সারা বাংলার কিছু ইতিহাস প্রসিদ্ধ কালীপুজোর হদিশ রইল ২৪ ঘণ্টার পাতায়।

Updated By: Oct 29, 2016, 12:09 PM IST
সারা বাংলার প্রাচীন কালীর সন্ধান রইল ২৪ ঘণ্টার পাতায়

ওয়েব ডেস্ক : সারা বাংলা সেজে উঠেছে দীপাবলি উত্সবে। পাড়ায় পাড়ায় মণ্ডপ। মায়ের আরাধনার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সবাই। সারা বাংলার কিছু ইতিহাস প্রসিদ্ধ কালীপুজোর হদিশ রইল ২৪ ঘণ্টার পাতায়।

অবিভক্ত বাংলার অন্যতম বালুরঘাটের চক ভবাণী শ্মশান কালীর পুজো।ততকালীন জমিদার শম্ভুনাথ সরকার এই পুজো শুরু করেন। আত্রেয়ী নদীর ধারে এই মন্দিরে ভিড় করেন বহু পুণ্যার্থী।

উত্তরবঙ্গের প্রাচীণ ও ঐতিহ্যবাহী পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম রায়গঞ্জের করুণাময়ী আদি কালী মন্দিরের পুজো। আনুমানিক পাচশো বছর আগে এই মন্দির স্থাপিত হয় বলে অনুমান। ১৮০৯ সালে দিনাজপুর রাজ এস্টেট থেকে মন্দিরটি সংস্কার করে পাকা করা হয়।

ডুয়ার্সের মালবাজার মহকুমার মেটেলির কালী পুজোর কথা সবার জানা। একশো পয়তাল্লিশ বছরের প্রাচীন এই পুজো। মাতৃমূর্তি কষ্টিপাথরের । এখানে প্রতিমার চোখ ড্রাগনের মত।

বারুইপুরের জমিদার রায়চৌধুরী বাড়ির আনন্দময়ী কালী। প্রায় তিনশো বছর আগে এক সাধু কষ্ঠি পাথরের কালী মূর্তি পুজোর জন্য দিয়ে যান। সেই সময় থেকেই জমিদার বাড়িতে পুজো হয়ে আসছে।

উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসতের ন পাড়া কালী মন্দির প্রায় একশো চল্লিশ বছরের। এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র।

পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপীবল্লভপুরে সুবর্ণরেখার চরে ছোট্ট একটা মন্দির। কথিত আছে প্রায় দেড়শো বছর আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে পৈড়া পরিবার এই পুজোর শুরু করেন। সেই থেকেই সমাদরে পুজো হয় কুটিঘাটে।

বাঁকুড়ার কলাবতী গ্রামের কালী মহা সরস্বতী নামে পরিচিত। প্রতিমার আটটি হাত। বাঘের ওপর রয়েছেন দেবী। বধ করছেন অসুরকে। পাশে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে শুম্ভ-নিশুম্ভ। দুর-দূরান্ত থেকে এই পুজোয় ভিড় করেন বহু মানুষ।

ঘটপুজো নেই। আরতি এমনকি হোমযজ্ঞও হয় না। তন্ত্রমতে আধঘণ্টার মধ্যে পুজো হয়। সকাল বেলাতেই বিসর্জন। প্রায় চারশো বছর ধরে এভাবেই পুজো হয়ে আসছে বীরভূমের নানুরের বঙ্গছত্র  গ্রামেআরও পড়ুন, কুমোরটুলির বাজারে তৈরি ফ্যাশন-দুরস্ত প্রদীপ পাড়ি দিচ্ছে মালয়েশিয়া, দুবাই

.