চাকরির আশায় গেছে জমি, এখন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড়
নিজেদের গ্রামে কারখানা হবে। কাজ পাবে এ তল্লাটের ছেলেরা। সেই আশাতেই চাষের জমি দিয়েছিলেন শয়ে শয়ে চাষি পরিবার। কিন্তু সেই কারখানাই আপাতত আর হচ্ছে না। এই ঘোষণা শুনে এখন ওঁদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড়।
শালবনি: নিজেদের গ্রামে কারখানা হবে। কাজ পাবে এ তল্লাটের ছেলেরা। সেই আশাতেই চাষের জমি দিয়েছিলেন শয়ে শয়ে চাষি পরিবার। কিন্তু সেই কারখানাই আপাতত আর হচ্ছে না। এই ঘোষণা শুনে এখন ওঁদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড়।
সিঙ্গুরের মতোই স্বপ্নভঙ্গের ছায়া এখন শালবনির গ্রামে। উঁচু পাঁচিলের ওপারে সাধের জমি ঢাকা পড়েছে আগেই । বিশাল লোহার গেটের দিকে তাকিয়েই প্রায় ছবছর ধরে আশায় আশায় দিন গুণছিলেন এলাকার চাষিরা। জিন্দালদের ইস্পাত কারখানা ঘিরে সুদিনের স্বপ্ন বুনছিলেন ওঁরা। রবিবার সেই স্বপ্নই ভেঙে চুরমার হয়ে গেল খোদ সজ্জন জিন্দালেরই ঘোষণায়। শালবনির কারখানা আপাতত হচ্ছে না। এই ঘোষণার জেরেই সব হারানো চাষিদের দীর্ঘশ্বাসে শালবনির বাতাস এখন ভারি।
জমি খুইয়ে এবার পেটের ভাতও হারানোর আশঙ্কায় ভুগছে চাষি পরিবার।
স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায় এখন দানা বাঁধছে ক্ষোভ।
এই ক্ষোভকে পুঁজি করেই এলাকায় রাজনৈতিক জমি দখলের আশায় বুক বাঁধছে বিজেপি।
জমি গেছে। বিকল্প রুজি আদৌ মিলবে তো? কপালে ভাঁজ বাড়ছে চাষিদের।