জঙ্গলমহল নিয়ে উদ্বেগ খোদ মুখ্যসচিবের
জঙ্গলমহলের উন্নয়নে দেড় বছরেই ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে বলে বিভিন্ন জনসভায় দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী । অথচ তাঁর সরকারেরই মুখ্যসচিবের পর্যবেক্ষণ বলছে উল্টো কথা । জঙ্গলমহলের সমীক্ষা রিপোর্ট খতিয়ে দেখে রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র জঙ্গলমহলের উন্নয়ন নিয়ে নোটে তাঁর উদ্বেগের কথা লিখেছেন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি চিঠি লিখেছেন খাদ্যসচিব অনিল ভার্মাকে।
জঙ্গলমহলের উন্নয়নে দেড় বছরেই ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে বলে বিভিন্ন জনসভায় দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী । অথচ তাঁর সরকারেরই মুখ্যসচিবের পর্যবেক্ষণ বলছে উল্টো কথা । জঙ্গলমহলের সমীক্ষা রিপোর্ট খতিয়ে দেখে রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র জঙ্গলমহলের উন্নয়ন নিয়ে নোটে তাঁর উদ্বেগের কথা লিখেছেন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি চিঠি লিখেছেন খাদ্যসচিব অনিল ভার্মাকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলমহলে উন্নয়নের দাবিকে কার্যত খারিজ করা হল তাঁরই প্রসাশনের সর্বোচ্চ আমলা, খোদ রাজ্যের মুখ্যসচিবের চিঠিতে। সম্প্রতি জঙ্গলমহলের ৩৫টি গ্রামে গণবন্টন, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ-এই তিনটি বিষয় নিয়ে সমীক্ষা করা হয়। জঙ্গলমহলের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্রের পর্যবেক্ষণ অস্বস্তি বাড়িয়েছে সরকারের।
পয়লা জানুয়ারি খাদ্য ও সরবরাহ সচিব অনিল ভার্মাকে একটি চিঠি লেখেন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র। সঙ্গে চার পাতার নোটে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। জঙ্গলমহলের সব এলাকায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে বলে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নোটে। একমাত্র গোয়ালতোড় এলাকা ছাড়া স্বাস্থ্য পরিষেবায় ভ্রাম্যমান মোবাইল মেডিক্যাল ভ্যান কোথাও চোখে পড়েনা। পানীয় জলের ক্ষেত্রে গভীর নলকূপের কথা বলা হলেও, অধিকাংশ এলাকাতেই পাতকুয়োর ওপরেই এখনও নির্ভর করতে হচ্ছে জঙ্গলমহলবাসীকে। দু`টাকা কেজি দরে চালের চাহিদা থাকলেও তা সবাই পাচ্ছেন না। অথচ সেই চাল খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এই বিষয়ে নিজের উদ্বেগের কথা খাদ্যসচিবকে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
মুখ্যসচিবের রিপোর্ট সঠিক তথ্যই তুলে ধরছে। জঙ্গলমহলে পৌঁছয়নি উন্নয়নের ছোঁয়া। অভিযোগ ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টির নেতা অসিত খাটুয়ার।
একদিকে ঢালাও উন্নয়নের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। অন্যদিকে তাঁরই সরকারের মুখ্যসচিবের পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে উল্টো ছবি। সেই চিঠি ফাঁস হওয়ায় অক্ষরিক অর্থেই অস্বস্তি বেশ কয়েকগুণ বাড়ল সরকারের।