সরকার ইচ্ছা করে ভোট পিছিয়ে দিতে চাইছে, অভিযোগ জয়রামের

পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। আজ শিলিগুড়িতে তিনি বলেছেন, সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে ভোট পিছিয়ে দিতে চাইছে। সরকার কিন্তু ক্রমাগত দায়টা কমিশনের ঘাড়েই ঠেলে দিতে চাইছে। এরমধ্যেই জানা যাচ্ছে, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যের সতেরোটি জেলায় হাজারখানেক পঞ্চায়েত আসন ফাঁকা পড়ে আছে। কমিশন বহুবার ভোট করানোর আবেদন করলেও তা কানেই তোলেনি সরকার। 

Updated By: Apr 7, 2013, 05:11 PM IST

পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। আজ শিলিগুড়িতে তিনি বলেছেন, সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে ভোট পিছিয়ে দিতে চাইছে। সরকার কিন্তু ক্রমাগত দায়টা কমিশনের ঘাড়েই ঠেলে দিতে চাইছে। এরমধ্যেই জানা যাচ্ছে, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যের সতেরোটি জেলায় হাজারখানেক পঞ্চায়েত আসন ফাঁকা পড়ে আছে। কমিশন বহুবার ভোট করানোর আবেদন করলেও তা কানেই তোলেনি সরকার। 
রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জেরে রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে। তার জেরে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যত এখন অনিশ্চিত। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচিত পঞ্চায়েত গঠন না হলে গ্রামোন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য যে আটকে যাবে, রবিবার শিলিগুড়িতে সাফ সে কথা বলে দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী। 
 
রাজ্য সরকার ভোট না হওয়ার দায় চাপাচ্ছে কমিশনের ঘাড়ে। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলগুলির মত কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রীও মনে করেন, ভোট না হওয়ার দায় সরকারেরই। কমিশন-রাজ্য সরকার সংঘাতে নতুন মাত্র জুড়ে দিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রীর মন্তব্য।
 
 
জানা গেছে, ৬৩০টিরও বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত, প্রায় ৭০টি পঞ্চায়েত সমিতি আর জেলা পরিষদের খান ৩০ আসন খালি। জানা গেছে, কমিশনের তরফে বারবার খালি আসনগুলিতে ভোট করার জন্য রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করেছে কমিশন। কিন্তু সরকার তাতে গুরুত্ব দেয়নি। নির্বাচিত পঞ্চায়েতগুলির পরিবর্তে বিডিও, মহকুমাশাসক, জেলাশাসকদের দিয়ে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের কাজ করাতে তিনি যে বেশি উত্সাহী বহুবার সে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের হাজার খানেক শূন্য আসনে ভোট করাতে চায়নি, এই তথ্য সরকারের ভোট এড়াতে চাওয়ার মনোভাবেরই প্রমাণ বলে মনে করে বিশেষজ্ঞ মহল।
 

.