মুখ লুকিয়ে হাসপাতালে ফিরলেন ডাক্তাররা
সাংবাদিকদের এড়াতে লুকিয়ে হাসপাতালে ঢুকলেন এনআরএসের ইন্টার্নরা। এমনকী সংবাদমাধ্যমকে এড়াতে সরাসরি হাসপাতালে না নেমে শিয়ালদা, মৌলালি বিভিন্ন জায়গায় একেকজন করে ইন্টার্ন বাস থেকে নামেন। আজ ভোর রাতে তাজপুর থেকে জেলা পুলিসের এসকর্টে তাঁরা কলকাতায় ফেরেন। ফিরে ফের ঝামেলায় জড়ান ইন্টার্নরা।
সাংবাদিকদের এড়াতে লুকিয়ে হাসপাতালে ঢুকলেন এনআরএসের ইন্টার্নরা। এমনকী সংবাদমাধ্যমকে এড়াতে সরাসরি হাসপাতালে না নেমে শিয়ালদা, মৌলালি বিভিন্ন জায়গায় একেকজন করে ইন্টার্ন বাস থেকে নামেন। আজ ভোর রাতে তাজপুর থেকে জেলা পুলিসের এসকর্টে তাঁরা কলকাতায় ফেরেন। ফিরে ফের ঝামেলায় জড়ান ইন্টার্নরা।
গতকাল পূর্বমেদিনীপুরে তাজপুরে পিকনিক করতে গিয়ে ঝামেলায় জড়ায় ইন্টার্নরা। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিস ইন্টার্নদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।বরং তাদের এসকর্টের ব্যবস্থা করে। আজ কলকাতায় ফিরে ইন্টার্নরা ফের ঝামেলায় জড়িয়ে পরে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কর্মীদের সঙ্গে। অভিযোগ ইন্টার্নদের এই ট্যুর স্পনসর করেছে তিনটি ওষুধ কোম্পানি।
সমুদ্র সৈকতের টানে নৈতিকতা বিসর্জন দিলেন এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন ডাক্তাররা। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই, মন্দারমণি-তাজপুর বেড়াতে গিয়েছিলেন ১২২ জন ইন্টার্ন। গভীর রাতে তিনটি ভলভো বাসে পূর্ব মেদিনীপুর গেলেন তাঁরা। রয়েছে আরও গুরুতর অভিযোগ। অভিযোগ, ইন্টার্নদের এই ট্যুর স্পনসর করেছে তিনটি ওষুধ কোম্পানি।
এই খবর পেয়ে মন্দারমণিতে পৌঁছন সংবাদমাধ্যম কর্মীরা। ক্যামেরা দেখেই উত্তেজিত। এনআরএসের ইন্টার্ন চিকিত্সকদের এটাই ছিল প্রতিক্রিয়া। কাউকে আবার দেখা গেল ভাবলেশহীন মুখে সমুদ্রের ধারে ঘুরে বেড়াতে। দলবেধে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শতাধিক ইন্টার্ন রোগীদের ফেলে ঘুরে-বেড়াতেই তো এসেছেন সমুদ্র সৈকতে....
শনিবার রাত একটা: এনআরএস হাসপাতালের সামনে এল তিনটি ভলভো বাস। এই বাসগুলিতে চেপেই বেড়াতে গেলেন হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিতসকরা। কেন গভীর রাতে যাত্রা? কারণ যেতে হবে লোকচক্ষুর অন্তরালে। শনিবার রাত আড়াইটে: একে একে তিনটি বাসে উঠলেন ১২২ জন ইন্টার্ন। রওনা হল তিনটি ভলভো বাস। গন্তব্য পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণি ও তাজপুর। উপলক্ষ ছুটি কাটানো।
এমবিবিএস কোর্স শেষের পর সমস্ত ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীকে একবছরের ইন্টার্নশিপ করতে হয়। এই সময়ে বিভিন্ন বিভাগে চিকিত্সকদের সঙ্গে কাজ করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন তাঁরা। ছুটি নিতে হলে, বিভাগীয় প্রধানের কাছে আবেদন করতে হয় ইন্টার্নকে। বিভাগীয় প্রধান সেই আবেদনপত্র পাঠান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে। অধ্যক্ষ ছুটি মঞ্জুর করলে তবেই ছুটি পেতে পারেন সেই ইন্টার্ন।
এনআরএস হাসপাতালের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তিনি ইন্টার্নদের বেড়াতে যাওয়ার বিষয়ে কিছুই জানেন না। ইন্টার্নশিপে ছুটি নেওয়ার সুযোগ থাকলেও, একসঙ্গে সমস্ত ইন্টার্ন কখনই ছুটি নিতে পারেন না। বিশেষ করে চিকিত্সা পরিষেবার মতো অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবায় এধরণের গণছুটির অনুমতি কখনই নেই। ইন্টার্নদের বেড়াতে যাওয়ার পিছনে উঠছে নৈতিকতা বিসর্জনের গুরুতর অভিযোগও।
বিশেষ সূত্রে খবর, ইন্টার্নদের মন্দারমণি-তাজপুর ভ্রমণ স্পনসর করেছে তিনটি ওষুধ কোম্পানি। ওষুধ কোম্পানিগুলির টাকাতেই মন্দারমণি এবং তাজপুরে হোটেল বুক করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। তবে এধরণের গনছুটির অভিযোগ এই প্রথম নয়। ইন্টার্নদের বিরুদ্ধে এই অনিয়মের অভিযোগ আগেও উঠেছে কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে। প্রতিবারই মৌখিক ভত্সনা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ইন্টার্নদের কাজ ফেলে বেড়াতে যাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।