নোট সঙ্কটে দেশবাসীর সর্বনাশের দিনে পৌষমাস রাজ্য বিদ্যুত্‍ বন্টন সংস্থায়

দেশজুড়ে নোট-সঙ্কট। ভুগছে তামাম দেশবাসী। কিন্তু এই সর্বনাশের দিনেও পৌষমাস, রাজ্য বিদ্যুত্‍ বন্টন সংস্থায়। ঘোষণা করা হয়েছিল, অচল নোটেই জমা করা যাবে বিদ্যুত্‍ বিল। ব্যস, আর কী! দু হাতে এই ছাড়ের সুযোগ নেন গ্রাহকরা। নিট রেজাল্ট, প্রায় চিরকাল লোকসানে চলা রাজ্য বিদ্যুত্‍ বন্টন সংস্থাও, এবার লাভবানের তালিকায়।  

Updated By: Dec 6, 2016, 04:13 PM IST
নোট সঙ্কটে দেশবাসীর সর্বনাশের দিনে পৌষমাস রাজ্য বিদ্যুত্‍ বন্টন সংস্থায়

ওয়েব ডেস্ক: দেশজুড়ে নোট-সঙ্কট। ভুগছে তামাম দেশবাসী। কিন্তু এই সর্বনাশের দিনেও পৌষমাস, রাজ্য বিদ্যুত্‍ বন্টন সংস্থায়। ঘোষণা করা হয়েছিল, অচল নোটেই জমা করা যাবে বিদ্যুত্‍ বিল। ব্যস, আর কী! দু হাতে এই ছাড়ের সুযোগ নেন গ্রাহকরা। নিট রেজাল্ট, প্রায় চিরকাল লোকসানে চলা রাজ্য বিদ্যুত্‍ বন্টন সংস্থাও, এবার লাভবানের তালিকায়।  

পুরনো পাঁচশো-হাজার অচল। ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে সেই নোট বদলের ঝক্কিতে না গিয়ে, কীভাবে-কোথায় সেগুলি খরচ করে ফেলা যায়? আমনজনতার ভাবনা এটাই। পথ খুলে দেয় রাজ্য বিদ্যুত্‍ বন্টন সংস্থা। নোট বাতিলের আগের মাসে অর্থাত্‍ অক্টোবরে, রাজ্য বিদ্যুত্‍ বন্টন সংস্থায় বিল জমা পড়ে চোদ্দোশো একানব্বই কোটি টাকা। সেখানে নোট-বাতিলের মাসে অর্থাত্‍ নভেম্বরে, রাজ্য বিদ্যুত্‍ বন্টন সংস্থায় বিল জমা হয়েছে ষোলোশো বাইশ কোটি টাকা।

বিলের এই বাড়তি অঙ্কের একটি কারণ অবশ্যই নভেম্বর থেকে বিদ্যুত্‍ মাসুল বৃদ্ধি। হিসেব করে দেখা গিয়েছে, এজন্য বাড়তি জমা পড়া টাকার অঙ্ক প্রায় ষাট কোটি। বাকি প্রায় চৌষট্টি কোটি টাকার আমদানি হয়েছে অচল নোটে দেওয়া ছাড়ের কারণেই। লাভ-প্রসঙ্গে বিদ্যুত্‍মন্ত্রী টানছেন পুরসভার উদাহরণও। কিন্তু খোদ মেয়র এমন তত্ত্ব মানতে নারাজ।

রাজ্য বিদ্যুত্‍ বন্টন সংস্থা অর্থাত্‍ WBSEDCL-এর পুরনো তথ্য ঘাঁটলেই অবশ্য দেখা যাচ্ছে, বিল জমার প্রশ্নে ফারাক কতটা! এবছর যেখানে নভেম্বরে জমা পড়া বিদ্যুত্‍ বিল ষোলোশো বাইশ কোটি টাকা, সেখানে গতবছর এই সময়েই জমা পড়েছিল মাত্র তেরশো অষ্টআশি কোটি টাকা।

.