আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে অস্তিত্বের সঙ্কটে হাওড়ার কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক
২০১০ সালের ৩ অগাস্ট হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এরপর থেকেই অথৈ জলে ওই ব্যাঙ্কের ৫৫ হাজার গ্রাহক। ওই ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখা জীবনের সঞ্চয় আদৌ আর ফেরত পাবেন কিনা তা নিশ্চিত নয় তাঁদের কাছে।
২০১০ সালের ৩ অগাস্ট হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এরপর থেকেই অথৈ জলে ওই ব্যাঙ্কের ৫৫ হাজার গ্রাহক। ওই ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখা জীবনের সঞ্চয় আদৌ আর ফেরত পাবেন কিনা তা নিশ্চিত নয় তাদের কাছে। কারণ, গত বছরের জুলাই মাসেই আমানতকারীদের কাছে বন্ধ হয়ে যায় প্রায় ৪৫ বছর ধরে তিলে তিলে গডে ওঠা এই ব্যাঙ্কের দরজা। আর তার পরের মাস থেকেই পুরোপুরি বন্ধ এই ব্যাঙ্ক।
আর পাঁচটা কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের মতোই এই ব্যাঙ্কে কেউ জমা রেখেছিলেন স্বেচ্ছা অবসরের সম্বল। কারোর আবার তিল তিল করে সঞ্চয় করা অর্থের ঠিকানা হয়েছিল রামকৃষ্ণপুর কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। সেই টাকা ফেরত্ পাওয়াটাও এখন তাদের কাছে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে, ব্যাঙ্কের ৬৫ জন কর্মীর ভবিষ্যত্। প্রায় ১৬ মাস বেতন পাচ্ছেন না তাঁরা।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একের পর এক নির্দেশ সত্বেও জালিয়াতির জালে ক্রমশই আরও জড়িয়ে পড়েছিল হাওড়ার এই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। শেষ পর্যন্ত তাই ২০১০-এর অগাস্টে ব্যাঙ্ক বন্ধের নির্দেশ দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। বাতিল করা হয় ব্যাঙ্কের লাইসেন্সও। অথচ বন্ধ হওয়ার ঠিক দশবছর আগে এই ব্যাঙ্ককেই `এ` ক্যাটাগরিতে উন্নীত করেছিল রেজিস্ট্রার অব কো-অপারেটিভ সোসাইটি। কিন্তু তারপরও কী করে এই ব্যাঙ্কের আর্থিক পরিণতি এমন হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
তাহলে কি আর্থিক নয়-ছয়ের মাসুলই কী দিতে হল এই সমবায় ব্যাঙ্ককে?
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তদন্ত রিপোর্টেও কিন্তু তার স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। আর সেই সঙ্গেই জড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের বর্তমান শাসক দলের নাম।