আলুর দর বাড়লেও কৃষকরা সেই তিমিরেই
এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গেছে কেজি প্রতি আলুর দর। রাজ্যের সর্বাধিক আলু উত্পাদক জেলা হুগলির কৃষি দফতর বলছে, ভিন রাজ্যে আলুর ফলন কম হওয়াতেই বেড়েছে দাম। শুরু হয়েছে কালোবাজারি। কৃষকদের বক্তব্য, তাদের থেকে কম দামে কেনা আলু এখন চড়া দামে বিক্রি করছেন মজুতদাররা। আর তাঁরা রয়ে গেছেন সেই তিমিরেই।
এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গেছে কেজি প্রতি আলুর দর। রাজ্যের সর্বাধিক আলু উত্পাদক জেলা হুগলির কৃষি দফতর বলছে, ভিন রাজ্যে আলুর ফলন কম হওয়াতেই বেড়েছে দাম। শুরু হয়েছে কালোবাজারি। কৃষকদের বক্তব্য, তাদের থেকে কম দামে কেনা আলু এখন চড়া দামে বিক্রি করছেন মজুতদাররা। আর তাঁরা রয়ে গেছেন সেই তিমিরেই।
গড় হিসেব বলছে হুগলিতে প্রতিবছর হেক্টর প্রতি ২৫ থেকে ২৭ মেট্রিক টন পর্যন্ত আলু উত্পাদন হয়। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অথচ তা সত্বেও কেজি প্রতি ১২ থেকে ১৫ টাকা কিলো দরে বিকোচ্ছে জ্যোতি আলু। কেন আচমকা এমন মহার্ঘ হয়ে উঠল আলু? কৃষি দফতরের ব্যাখ্যা ভিন রাজ্যে মার খেয়েছে আলুর ফলন, সেকারণেই বেড়েছে দাম।
অবশ্য অন্য ব্যাখ্যাও রয়েছে। গতবছর বিক্রি না-হওয়ায় প্রচুর আলু পড়ে থেকে নষ্ট হয়েছিল। এবছর তাই নিজেদের ঘরে আর আলু মজুত রাখেননি কৃষকরা। বিক্রি করে দিয়েছেন বড় বড় মজুতদার, ব্যবসায়ীদের কাছে। কৃষি দফতরের বক্তব্য, ভিন রাজ্যে চড়া দামে আলু রফতানি করার জন্যই আগেভাগে কৃষকদের থেকে আলু কিনে রেখেছেন মজুতদাররা। ফলে এখন চাহিদা থাকলেও যোগান নেই। ফলে চড় চড় করে বাড়ছে আলুর দাম।
মে মাসের প্রথম সপ্তাহে হিমঘর খুলবে। তখন আলুর দাম আরও চড়বে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট সব মহল।