আশ্রয়ের খোঁজে
মাথার ওপর ছাদ নেই। বিধ্বংসী আগুন কেড়ে নিয়েছে মাথা গোঁজার ঠাঁই। বাগমারি ময়দা গলির বস্তির বাসিন্দাদের আশ্রয় এখন ত্রিপলের ছাউনি। গত বুধবার বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বস্তির চোদ্দটি ঘর।
মাথার ওপর ছাদ নেই। বিধ্বংসী আগুন কেড়ে নিয়েছে মাথা গোঁজার ঠাঁই। বাগমারি ময়দা গলির বস্তির বাসিন্দাদের আশ্রয় এখন ত্রিপলের ছাউনি। গত বুধবার বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বস্তির চোদ্দটি ঘর। তারপর থেকে মাঠে ত্রিপলের ছাউনি বেধেই দিন কাটাচ্ছেন বস্তির বাসিন্দারা। ঘটনার পর আর্থিক ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন মেয়র। ক্ষতিপূরণের কোনও টাকাই হাতে আসেনি বলে অভিযোগ জানিয়েছেন বস্তির বাসিন্দারা। গত বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় আগুন লাগে বাগমারি ময়দা গলির বস্তিতে। বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় চোদ্দটি বাড়ি। ঘর হারিয়ে পাশের মাঠেই ত্রিপলের ছাউনি খাটিয়ে অস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন বস্তির বাসিন্দারা। ক্রমশ বাড়ছে শীত। ফলে এই অস্থায়ী ছাউনি ছেড়ে বাসস্থানের স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা চাইছেন ঘরহারা বস্তির বাসিন্দারা। ঘর পুড়ে যাওয়ায় ক্ষতিপূরণবাবদ বস্তির বাসিন্দাদের পনেরো হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র । উনতিরিশ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেই টাকা এখনো হাতে পাননি তাঁরা। তাঁদের দাবি, স্থায়ী বসবাসের ব্যবস্থা করে দিক সরকার। এরআগে উল্টোডাঙার বাসন্তী কলোনিতে অগ্নি কাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়ে যায় দুশোরও বেশি ঝুপড়ি ঘর। ঘরহারা দুশো পরিবারকে পাকা বাড়ি বানিয়ে দিয়েছিল তত্কালীন বাম সরকার। ক্ষমতার পালা বদল হয়েছে। বাগমারি ময়দা গলির মাত্র চোদ্দটি পরিবারের বাসস্থানের ব্যবস্থাই এখনও করে উঠতে পারেনি বর্তমান সরকার। একরাশ অনিশ্চতার মধ্যে দাঁড়িয়ে ঘরহারা বস্তি বাসীরা এখন দিন গুনছেন স্থায়ী বাসস্থানের আশায়।