পঞ্চায়েত হিংসার দায় কার? চলছে দায় এড়ানোর খেলা

ভোটে হিংসার দায় কার? রাজ্যে বেড়ে চলা  হিংসার সরকার বলছে, ভোট চলছে শান্তিতেই। তবে মুখ খুলল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জানিয়ে দিল বুথের বাইরে হিংসা রোখার দায়িত্ব রাজ্যেরই।

Updated By: Jul 20, 2013, 09:31 PM IST

ভোটে হিংসার দায় কার? রাজ্যে বেড়ে চলা  হিংসার সরকার বলছে, ভোট চলছে শান্তিতেই। তবে মুখ খুলল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জানিয়ে দিল বুথের বাইরে হিংসা রোখার দায়িত্ব রাজ্যেরই।
ভোটে মনোনয়নপর্ব, প্রচার, ভোটপর্ব এবং ভোট পরবর্তী নিরাপত্তার ছবিটা ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও তা ব্যবহার করা হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দায়টা কার। 
 
অধিকাংশরই মত কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগানোর কাজটা করে স্থানীয় প্রশাসনই। সেক্ষেত্রে দায়টা রাজ্যের ওপরই বর্তায়। তবে বামেরা মনে করে বাহিনী নিয়োগের দায়টা  এড়াতে পারে না কমিশনও। শনিবার কমিশনকে সেকথা জানিয়েও এসেছে তারা। অভিযোগ উঠছে, এক্তিয়ার এবং আইনি বাধাকে কাজে লাগিয়ে কমিশনকে কার্যত কোনও কাজই করতে দিচ্ছে না রাজ্য। ভোটে হিংসার দায় এড়িয়ে কমিশনও সেটাই বোঝাতে চাইছে।
 
রাজ্য ও কমিশনের দায় এড়ানোর পালা, তার মধ্যেই ভোটকে ঘিরে হিংসা ক্রমশ বাড়ছে।
রাজ্যে এলেও পঞ্চায়েত ভোটে ব্যবহার করা হচ্ছে না কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। আপাতত এই অভিযোগেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। কিন্তু এজন্য দায়ী কি কমিশন ? নাকি রাজ্য সরকার ? কেন পুলিসকর্তারা এরাজ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এত সরকারের পক্ষ নিচ্ছেন ?
কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। রয়েছে নির্বাচনী হিংসাও। অথচ সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই বসিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত ভোটে। কিন্তু কেন? সাধারণ নির্বাচন বা বিধানসভা ভোটের ক্ষেত্রে বিশেষ অধিকার রয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের। সেক্ষেত্রে কোনও পুলিস কর্তার কাজ পছন্দ না হলে,
 
১) কমিশন সেই পুলিস কর্তাকে বদলি করতে পারে।
২) প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট অফিসারের সার্ভিস বুকে নিন্দাসূচক মন্তব্য নথিবদ্ধ করতে পারে। যা প্রভাব ফেলবে সেই অফিসারের চাকরিজীবনে।
 ভোটের সময় রাজ্যের পুলিস-প্রশাসনকে পরিচালনা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এই কমিশনের সেই বিশেষ ক্ষমতাই নেই। আর সেকারণেই ডোন্ট কেয়ার মনোভাব পুলিসকর্তাদের। বরং নয়া সরকারে আমলে কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর মন যুগিয়েই চলতে হবে পুলিসকর্তাদের। তা নাহলে বিপাকে পড়ার ঘোরতর সম্ভাবনা। কারণ এই সরকারি নির্দেশিকা।
 
আগে পুলিস সুপার ও কমিশনারদের পারফর্ম্যান্সের প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে হত ডিআইজিকে এবং আইজিকে। মূল্যায়নের দায়িত্ব থাকত ডিজির ওপর। যাতে চূড়ান্ত সিলমোহর দিতেন স্বরাষ্ট্রসচিব।
 
কিন্তু ২০১২ নতুন সরকারি আদেশ অনুযায়ী জেলার পুলিস সুপারদের ওপর জোনাল ডিআইজি এবং আইজিদের কোনও নিয়ন্ত্রণই নেই। এসপি-রা সরাসরি রিপোর্ট করবেন ডিজিকে।  শুধু মূল্যায়নেরই অধিকার রয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিবের।  কিন্তু চূড়ান্ত সিলমোহর দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
  
নির্বাচন শেষ হলেই কাজ শেষ কমিশনের। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বিরাগভাজন হলে চাকরিতে বিপদ আইপিএসের। স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয় পথটাই শ্রেয় মনে করেছেন পুলিসকর্তারা।
 

.