কোণঠাসা মোর্চা, শর্তসাপেক্ষে জিটিএ-র বৈঠকে যেতে রাজি গুরুং
চাপের মুখে অনেকটাই কোণঠাসা মোর্চা। জিটিএ প্রত্যাখ্যানের কথা বলা মোর্চা এখন শর্তসাপেক্ষে জিটিএ-র বৈঠকে যাওয়ার কথা বলছে। মোর্চার শর্ত, ধৃত জিটিএ সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। তবে বিমল গুরুং যে আর জিটিএ প্রধান হচ্ছেন না, সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন মোর্চার নেতারা। শর্তসাপেক্ষে জিটিএ বৈঠকে যোগদানই শুধু নয়, নয়া জিটিএ প্রধান নির্বাচনের কথাও বলছেন মোর্চা নেতারা।
চাপের মুখে অনেকটাই কোণঠাসা মোর্চা। জিটিএ প্রত্যাখ্যানের কথা বলা মোর্চা এখন শর্তসাপেক্ষে জিটিএ-র বৈঠকে যাওয়ার কথা বলছে। মোর্চার শর্ত, ধৃত জিটিএ সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। তবে বিমল গুরুং যে আর জিটিএ প্রধান হচ্ছেন না, সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন মোর্চার নেতারা। শর্তসাপেক্ষে জিটিএ বৈঠকে যোগদানই শুধু নয়, নয়া জিটিএ প্রধান নির্বাচনের কথাও বলছেন মোর্চা নেতারা।
গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে নতুন করে আন্দোলনের ডাক দিয়ে জিটিএ প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং। সঙ্গে সঙ্গেই সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে মোর্চাকে চাপের মুখে ফেলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। চৌঠা সেপ্টেম্বর জিটিএ-র নির্বাচিত সদস্যদের বৈঠক ডেকে সরকার মোর্চার উপর চাপ আরও বাড়িয়েছে। এরমধ্যেই পুরনো মামলায় ১১ জন জিটিএ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে প্রশাসন। চার তারিখের বৈঠকে যাওয়ার শর্ত হিসেবে ধৃত জিটিএ সদস্যদের মুক্তির দাবি তুলেছে মোর্চা।
আগে জিটিএ প্রত্যাখ্যানের কথা বলেছিল মোর্চা। সর্বদলীয় মঞ্চ থেকেও সে কথা ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু এখন শর্তসাপেক্ষে জিটিএ বৈঠকে যোগদানই শুধু নয়, নয়া জিটিএ প্রধান নির্বাচনের কথাও বলছেন মোর্চা নেতারা।
তবে বিমল গুরুং যে আর জিটিএ প্রধান হচ্ছেন না, সেটা স্পষ্ট করেছেন মোর্চার সাধারণ সম্পাদক। মোর্চা সূত্রের খবর, জিটিএ-র মনোনীত সদস্য বর্ষীয়ান বিরখু ভুজেলের নাম তাঁরা জিটিএ প্রধান হিসেবে প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু সরকার জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচিত সদস্যদের মধ্য থেকেই জিটিএ-র নতুন প্রধান নির্বাচিত করতে হবে।
সরকারের কৌশলের মুখে তারা যে দিশেহারা তা স্পষ্ট মোর্চা নেতাদের পরস্পরবিরোধী কথায়। শর্তসাপেক্ষে সেই জিটিএ-র বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথাই এখন বলছেন মোর্চা নেতারা। ৪ সেপ্টেম্বর জিটিএ বৈঠকে না যাওয়ার কথা বলে, জঙ্গি ইমেজটা বাঁচিয়ে রাখতে মরিয়া বিমল গুরুং। কিন্তু জিটিএ প্রধানের পদ ছাড়লেও জিটিএ-র সদস্যপদ ছাড়েননি মোর্চা সভাপতি। ছাড়বেন, তেমন ইঙ্গিতও দেননি। মোর্চার দোলাচলের মধ্যেই নির্বাচিত সদস্যদের কাউকেই নয়া জিটিএ প্রধান নির্বাচনের কথা বলে সরকার আবার মোর্চায় ভাঙন ধরানোর কৌশল নিয়েই চলতে চাইছে। কারণ সে ক্ষেত্রে বিমল গুরুংয়ের ছেড়ে যাওয়া চেয়ারে বসতে হবে মোর্চারই কোনও নেতাকে।