অবশেষে বুদ্ধদেবের কর্মিসভার অনুমতি দিল প্রশাসন
চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত আরামবাগে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কর্মিসভার অনুমতি দিল রাজ্য সরকার। এর আগে আইন-শৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা প্রকাশ করে ওই সভার অনুমতি আটকে দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে সমালোচনাও হয় বিস্তর। শেষ পর্যন্ত ৯ সেপ্টেম্বর, নির্ধারিত দিনেই কর্মিসভার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।
চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত আরামবাগে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কর্মিসভার অনুমতি দিল রাজ্য সরকার। এর আগে আইন-শৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা প্রকাশ করে ওই সভার অনুমতি আটকে দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে সমালোচনাও হয় বিস্তর। শেষ পর্যন্ত ৯ সেপ্টেম্বর, নির্ধারিত দিনেই কর্মিসভার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।
আরামবাগের রবীন্দ্রভবনে ৯ সেপ্টেম্বর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের রুদ্ধদ্বার কর্মিসভা করতে চেয়ে আরামবাগের মহকুমাশাসককে চিঠি দিয়েছিলেন হুগলি জেলার সিপিআইএম নেতারা। কিন্তু আরামবাগ থানার আইসি মহকুমাশাসককে জানান, বুদ্ধবাবু রবীন্দ্রভবনে কর্মিসভা করলে, এলাকার আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে। সেই যুক্তিতে আরামবাগ প্রশাসন কর্মিসভার অনুমতির আর্জি খারিজ করে দেয়। এই ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। রবীন্দ্রভবনে রুদ্ধদ্বার কর্মিসভা করলে কী ভাবে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হবে, সে প্রশ্ন সবচেয়ে বড় হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি শিলাদিত্য চৌধুরীর গ্রেফতারের সঙ্গে একসারিতে চলে আসে আরামবাগের ঘটনা।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সভার অনুমতি আটকে দিয়ে রাজ্য সরকার বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে চাইছে বলে অভিযোগ ওঠে। ২৩ ফেব্রুয়ারি হুগলি জেলার সিপিআইএম নেতারা মহাকরণে স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। সাধারণ একটি কর্মিসভা করার জন্য প্রশাসনের সর্বোচ্চস্তর পর্যন্ত যেতে হয় তাঁদের। শেষ পর্যন্ত রবীন্দ্রভবনেই বুদ্ধবাবুর কর্মিসভার অনুমতি দেয় আরামবাগ মহকুমা প্রশাসন।
তবে এখানেই শেষ হচ্ছে না চাপানউতোর। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কর্মিসভাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর আরামবাগে বড় মিছিলের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বন্ধ ঘরে কর্মীসভা করা নিয়ে যেখানে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা করছিল প্রশাসন, সেখানে পিঠোপিঠি এমন দুটি মিছিলের অনুমতি কী করে দেওয়া হল, তাও আবার কর্মিসভার প্রাক্কালে, তা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠেছে।