আদিবাসী বিকাশ পরিষদে ফাটল?
প্রস্তাবিত জিএটিএ-তে তরাই ও ডুয়ার্সের মৌজার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মতবিরোধ। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন পরিষদের আঞ্চলিক সভাপতি জন বার্লা। অথচ তাঁর সঙ্গে একমত নন পরিষদের রাজ্য সভাপতি বিরসা তিরকে। এই ইস্যুতে মতবিরোধ মাথাচাড়া দেওয়ায় বুধবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকেছে আদিবাসী বিকাশ পরিষদ।
প্রস্তাবিত জিএটিএ-তে তরাই ও ডুয়ার্সের মৌজার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মতবিরোধ। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন পরিষদের আঞ্চলিক সভাপতি জন বার্লা। অথচ তাঁর সঙ্গে একমত নন পরিষদের রাজ্য সভাপতি বিরসা তিরকে।
তরাই ও ডুয়ার্সের ৩৯৯টি মৌজাকে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-তে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলেছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। তাতে ঘোর আপত্তি ছিল আদিবাসী বিকাশ পরিষদের। এরপরই মোর্চা নেতাদের তরফে নয়া প্রশাসনিক কাঠামো হিসেবে জিএটিএ-র নাম ভাসিয়ে দেওয়া হয়। তাতে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের আঞ্চলিক সভাপতি জন বার্লার সম্মতিও আদায় করে নেন মোর্চা নেতারা। বলা হয়, প্রস্তাবিত জিএটিএ-তে তরাই-ডুয়ার্সের বিতর্কিত মৌজাগুলির অন্তর্ভুক্তি মেনে নিয়েছে আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। মৌজা নিয়ে বিমল গুরুং-জন বার্লার দাবি সামনে আসার পরেই এ নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে বিকাশ পরিষদের অন্দরে। ২৪ ঘণ্টাকে টেলিফোনে পরিষদের রাজ্য সভাপতি বিরসা তিরকে বলেছেন, বার্লা যা বলেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত এবং তা আদিবাসী বিকাশ পরিষদের অভিমত নয়। বিরসার প্রশ্ন, জিটিএ-কে সমর্থন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার; এখন সেই চুক্তিকে বাতিল করে নতুন চুক্তি হলে তাতে কার সিলমোহর থাকবে? জন বার্লার দাবি, মোর্চার সঙ্গে পরিষদের আপসরফা রয়েছে মৌখিক চুক্তির ভিত্তিতে এবং তাতে সমর্থন রয়েছে পরিষদের। এই দাবি মানছেন না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন পরিষদের রাজ্য সভাপতি বিরসা তিরকে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকেছে আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। তাতে যোগ দিচ্ছেন জন বার্লাও।