জেলা হাসপাতালগুলিতে অগ্নি নির্বাপণের হালটা কেমন?
কলকাতা হাসপাতালগুলিতে অগ্নি নির্বাপণের বেহাল দশা। আর বাকি জেলা হাসপাতালগুলি? সেখানে অগ্নি নির্বাপণের হালটা কেমন? বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আগুন। আতঙ্ক, ছোটাছুটি, মৃত্যু।
ওয়েব ডেস্ক: কলকাতা হাসপাতালগুলিতে অগ্নি নির্বাপণের বেহাল দশা। আর বাকি জেলা হাসপাতালগুলি? সেখানে অগ্নি নির্বাপণের হালটা কেমন? বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আগুন। আতঙ্ক, ছোটাছুটি, মৃত্যু।
বহরমপুরে আগুন নেভানোর কোনও পরিকাঠামোই ছিল না। আর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ? জেলার একমাত্র মেডিক্যাল কলেজের হাল একইরকম বেহাল। দুটি বিল্ডিং জুড়ে ছড়ানো হাসপাতাল। সাড়ে ছশোরও বেশি বেড। প্রতিদিনই হাজারো রোগীর ভিড়। সঙ্গে রয়েছে আউটডোর। কিন্তু, জলের পাইপ বা ফায়ার এক্সটিংগুইসার দেখা নেই কোনটারই। আগুন লাগলে একমাত্র ভরসা দমকল। কিন্তু, ফোন পেয়ে দমকল হাসপাতালে পৌছনো পর্যন্ত পরিস্থিতি কতটা সামাল দেওয়া যাবে?
আসানসোল জেলা হাসপাতাল। বর্ধমানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়ানো হাসপাতাল চত্বর। অথচ, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বলতে হাতে গোণা কয়েকটি ফায়ার এক্সটিংগুইসার। এমার্জেন্সি একজিট নিয়ে নেই স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা। হাসপাতাল সুপার বলছেন, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার জন্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে তদ্বির করলেও ফল হয়নি। কলকাতা হোক কিংবা জেলা হাসপাতাল। অগ্নি নির্বাপনের বেহাল দশার চিত্রটা সর্বত্রই এক। সব জায়গাতেই আগুন লাগলে ভগবানই একমাত্র ভরসা।