আর্থিক সমস্যা নিয়ে মুখ খুললেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র
বকেয়া মহার্ঘভাতা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের কোনও আশার কথা শোনাতে পারলেন না অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। আর্থিক সঙ্কট মেটাতে কেন্দ্রের কাছে কয়লার রয়্যালটি বাবদ প্রাপ্য অর্থ দাবি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত।
বকেয়া মহার্ঘভাতা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের কোনও আশার কথা শোনাতে পারলেন না অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। আর্থিক সঙ্কট মেটাতে কেন্দ্রের কাছে কয়লার রয়্যালটি বাবদ প্রাপ্য অর্থ দাবি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত। কিন্তু অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বুঝিয়ে দিয়েছেন, সেই পথে তিনি হাঁটতে নারাজ। উল্টে কেন্দ্রের সুরে সুর মিলিয়ে অমিত মিত্রর দাবি, কয়লায় সেস এবং রয়্যালটি একসঙ্গে আর কোনও রাজ্যই নেয় না।
রাজ্যের আর্থিক সঙ্কট নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। কিন্তু উত্সবের মরসুমে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দু কিস্তি মহার্ঘভাতা বকেয়া থাকলেও তা নিয়ে কোনও আশ্বাস শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীর মুখে। সোমবারই প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত অভিযোগ তোলেন, নতুন সরকারের আমলে মহার্ঘভাতা বাকি রয়েছে।
এই আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও কয়লার রয্যালটি বাবদ রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ নিয়েওকোনও দাবি তোলেননি অর্থমন্ত্রী। উনিশো একানব্বই সাল থেকে দুহাজার এগারো, এই কুড়ি বছরে কয়লার রয়্যালটি বাবদ কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের প্রাপ্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা। বকেয়া টাকার দাবিতে বারবারই কেন্দ্রের কাছে দরবার করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত। তবে রয়্যালটি বাবদ টাকা না দেওয়ার পেছনে কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, অন্য রাজ্য রয়্যালটি নিলেও সেস নেয় না, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ কয়লা থেকে সেস ও রয়্যালটি দুটিই প়েয়ে থাকে। কেন্দ্রের এই বক্তব্যের ব্যাপারে অসীমবাবুর পাল্টা যুক্তি, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, রয্যালটির টাকা রাজ্যের সাংবিধানিক অধিকার। সেস এর ক্ষেত্রেও রাজ্য কী করবে তা ঠিক করে দিতে পারে না কেন্দ্র।
মঙ্গলবার কিন্তু এই ইস্যুতে কেন্দ্রের যুক্তির সুরেই সুর মেলালেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
আর্থিক সঙ্কটের ইস্যুতে তাই শেষপর্যন্ত রাজনৈতিক বিতর্ক, কাজিয়া হল, কিন্তু সমস্যার সুরাহা হল না। সঙ্কট রয়ে গেল সেই তিমিরেই।