মালদায় ফের কৃষক আত্মঘাতী
ঋণের দায়ে রাজ্যে ফের আত্মঘাতী হলেন এক কৃষক। পরিবারসূত্রে অভিযোগ ঋণ মেটাতে না-পেরে রাতে কীটনাশক খান মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা নির্মল মণ্ডল। হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। আত্মীয়দের দাবি ধার করা অর্থ ফেরতের জন্য মহাজনের চাপের পাশাপাশি মজুত ফসল বিক্রি না-করতে পারায় গত কিছুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন নির্মলবাবু।
ঋণের দায়ে রাজ্যে ফের আত্মঘাতী হলেন এক কৃষক। পরিবারসূত্রে অভিযোগ ঋণ মেটাতে না-পেরে রাতে কীটনাশক খান মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা নির্মল মণ্ডল। হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। আত্মীয়দের দাবি ধার করা অর্থ ফেরতের জন্য মহাজনের চাপের পাশাপাশি মজুত ফসল বিক্রি না-করতে পারায় গত কিছুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন নির্মলবাবু।
ধান চাষের জন্য পুঁজি জোগাড় করতে গত বর্ষায় স্থানীয় মহাজনের থেকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন মালদহের কালিয়াচক থানার বাসিন্দা নির্মল মণ্ডল। এরপর চাষ করা ধান বিক্রি করতে না-পারায় ঋণ শোধ করতে গিয়ে যথেষ্ট বেগতিকে পড়েন লক্ষ্মীপুরোর দুন্মবর বল্কের স্থানীয় এই কৃষক। ধারের টাকা জোগাড় করতে অন্যের জমিতে ক্ষেতমজুরের কাজও শুরু করেন বছর চল্লিশের নির্মলবাবু। তবে এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহ থেকে বকেয়া মেটানোর জন্য পাওনা মেটানোর জন্য চাপ আসে স্থানীয় মহাজনের কাছ থেকেও। সেই চাপ সহ্য করতে না-পেরেই সোমবার রাতে সতন কোনাই কীটনাশক খান বলে তাঁর আত্মীয়দের দাবি। সাঁইথিয়া হাসপাতাল থেকে সিউড়ি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় সতন কোনাইয়ের।
সোমবারই ঋণের দায়ে মুর্শিদাবাদের বড়োয়া থানার ঘুনকিয়া গ্রামে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন হিরণ্ময় ঘোষ নামে এক কৃষক।