ছেলের চিকিৎসায় সর্বস্বান্ত, মালদায় সপরিবারে ইচ্ছামৃত্যুর আবেদন অবসরপ্রাপ্ত পুলিসকর্মীর
ছেলের চিকিত্সায় গোটা পরিবার সর্বস্বান্ত। সঞ্চিত সোনা-দানা,ঘটি-বাটিও বিক্রি করে এখন তাঁরা নিঃস্ব। তবে ছেলের সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। এই পরিস্থিতিতে ব্লক আধিকারিকের কাছে পুত্রসহ ইচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন মালদার মানিকচক থানা এলাকার বাসিন্দা হারান মিঞা ও তাঁর স্ত্রী মানোয়ারা বেগম।
ব্যুরো: ছেলের চিকিত্সায় গোটা পরিবার সর্বস্বান্ত। সঞ্চিত সোনা-দানা,ঘটি-বাটিও বিক্রি করে এখন তাঁরা নিঃস্ব। তবে ছেলের সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। এই পরিস্থিতিতে ব্লক আধিকারিকের কাছে পুত্রসহ ইচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন মালদার মানিকচক থানা এলাকার বাসিন্দা হারান মিঞা ও তাঁর স্ত্রী মানোয়ারা বেগম।
বছর দেড়েক আগে মানিকচকে পথদুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন কামালপুর গ্রামের মমিনপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত পুলিসকর্মীর পুত্র আবদুল কাদের জিলানি। মেরুদণ্ডের কাছে স্নায়ু ছিড়ে যায়। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মানিকচক গ্রামীন হাসপাতালে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে রেফার করা হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে জটিল অস্ত্রোপচারের ঝুকি নেননি চিকিত্সকরা। পরিবর্তে কলকাতায় বিশেষজ্ঞদের কাছে রেফার করা হয় জিলানিকে। শেষপর্যন্ত কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ছেলেকে ভর্তি করান জিলানির বাবা হারুন মিঞা। ছেলেকে বাঁচিয়ে তুলতে জীবনের সব সঞ্চয় খরচ করেন ওই দম্পতি। তাঁদের অভিযোগ, চিকিত্সায় গাফিলতির কারণেই চিরতরে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে তাঁদের একমাত্র সন্তান জিলানি।
একসময় পুলিসে চাকরি করতেন। তাই সহজে হাল ছাড়তে চাননি হারান মিঞা। ঘটি-বাটি বিক্রি করেও ছেলের চিকিত্সা চালিয়ে গেছেন তিনি। কিন্তু আজ তিনি সর্বস্বান্ত।
জীবনযুদ্ধে হেরে গিয়ে এবার মানিকচক ব্লক আধিকারিকের কাছে স্বপরিবারে ইচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানান হারান মিঞা। এরপরই ছেলের চিকিত্সায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্লক আধিকারিক। খবর পেয়ে অবসরপ্রাপ্ত পুলিসকর্মীর বাড়িতে যান জেলা পরিষদের সদস্যরাও।
প্রতিশ্রুতির আশ্বাসেই ফের বেঁচে থাকার অক্সিজেন পেয়েছে হারান মিঞার পরিবার।