শ্রম আইন না মানায়, স্বাস্থ্য সঙ্কটে উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকেরা

শ্রম আইন মানছে না চা বাগান কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, সরকারি নজরদারির অভাবে হাতুড়ে চিকিত্‍সকদের দিয়ে চিকিত্‍সা চলছে উত্তরবঙ্গের চা বাগিচার শ্রমিকদের। সরকারি নিয়ম বলছে চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য হাসপাতাল থাকাটা বাধ্যতামূলক। 

Updated By: Sep 28, 2012, 05:58 PM IST

শ্রম আইন মানছে না চা বাগান কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, সরকারি নজরদারির অভাবে হাতুড়ে চিকিত্‍সকদের দিয়ে চিকিত্‍সা চলছে উত্তরবঙ্গের চা বাগিচার শ্রমিকদের। সরকারি নিয়ম বলছে চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য হাসপাতাল থাকাটা বাধ্যতামূলক। সেখানে একজন এমবিবিএস চিকিত্‍সক এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নার্স ও ফার্মাসিস্ট রাখাও বাধ্যতামূলক। কিন্তু বাস্তবের ছবিটা তা থেকে কয়েক যোজন দূরে।
অভিযোগ, সরকারি আইন না মেনে হাতুড়ে চিকিত্‍সকরাই শ্রমিকদের চিকিত্‍সা চালাচ্ছেন। জলপাইগুড়ি জেলাস্বাস্থ্য দফতরের সরকারি নথিতে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, জলপাইগুড়ি জেলায় মোট ১৫০টি চা বাগান রয়েছে। সেখানে এমবিবিএস চিকিত্‍সকের সংখ্যা মাত্র ৩৪। বাকি ১১৬টি চা বাগানই শ্রমিকদের চিকিত্‍সা ব্যবস্থা তুলে দিচ্ছে রেজিস্টার মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনারদের হাতে। সদর ব্লকের ৬টি চা বাগানের মধ্যে ১টি রয়েছে এমবিবিএস চিকিত্‍সক। রাজগঞ্জের ২টি চা বাগানের কোনওটিতেই এমবিবিএস চিকিত্‍সক নেই।
একই ছবি ময়নাগুড়ি ব্লকের চা বাগানগুলিতে। ধূপগুড়ির ২৩টি চা বাগানের মধ্যে মাত্র ৭টি চা বাগান সরকারি নিয়ম মানছে। বেনিয়মের এমন ছবি ধরা পড়েছে মালবাজার, মেটেলি, নাগরাকাটা, ফালাকাটা, মাদারিহাটে, কালচিনির একাধিক চা বাগানে। এরফলে যে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
 
তবে বেনিয়মের কথা মানতে চায়নি চা বাগান কতৃপক্ষ। পাল্টা যুক্তি দেখিয়েছেন চা বাগানগুলির মালিকরা। পুরো বিষয়ে মন্তব্যে নারাজ জেলা শ্রম দফতরও। এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলিও। এ সবের মধ্যেই স্বাস্থ্য নিয়ে সরকারের অব্যবস্থায় অসন্তোষ বাড়ছে চা বাগান শ্রমিকদের মধ্যে।
 

.