`ওরা বলল ধর্ষকেই বিয়ে করতে হবে`
ফের সালিশি সভার নিদান। চাপের মুখে ধর্ষককে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত। সেই স্বামীর বিরুদ্ধেই এবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনলেন নির্যাতিতা। থানায় জানিয়ে লাভ না হওয়ায় পুলিস সুপারের অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এলেন ওই মহিলা।
ফের সালিশি সভার নিদান। চাপের মুখে ধর্ষককে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত। সেই স্বামীর বিরুদ্ধেই এবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনলেন নির্যাতিতা। থানায় জানিয়ে লাভ না হওয়ায় পুলিস সুপারের অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এলেন ওই মহিলা।
গত বছরের আটই জুলাই ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে বারাসত থানায় যান এক মহিলা। অভিযোগ, এফআইআর না করে ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের বিচার সালিশি সভায় মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন থানার বড়বাবু ও স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা। দত্তপুকুর ফাঁড়ির সেই সালিশি সভায় অভিযুক্ত বিক্রম রায়কে বিয়ে করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। চাপে পড়ে বিক্রমকে বিয়ে করেন নির্যাতিতা।
অভিযোগ, জোর করে গর্ভপাতও করানো হয় নির্যাতিতার। অভিযোগ, বিক্রমের আচরণের কথা বারবার দত্তপুকুর থানায় জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়েই বৃহস্পতিবার পুলিস সুপারের অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানায় নির্যাতিতার পরিবার। অতিরিক্ত পুলিস সুপার ভাস্কর মুখার্জি জানিয়েছেন, যেহেতু ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়নি, সেহেতু ঘটনাটিকে বধূ নির্যাতন হিসেবেই দেখছেন তাঁরা।