বন্ধ হয়ে গেল ডানলপ
পুজোর ঠিক পরেই বন্ধ হয়ে গেল হুগলির সাহাগঞ্জের ডানলপ কারখানা। শনিবার সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানার গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস দেখতে পান শ্রমিকরা। সোমবার দুপুর একটায় মহাকরণে ডানলপ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। এর আগে, পয়লা এপ্রিল দুদিনের জন্য ডানলপে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস টাঙানো হয়।
পুজোর ঠিক পরেই বন্ধ হয়ে গেল হুগলির সাহাগঞ্জের ডানলপ কারখানা। শনিবার সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানার গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস দেখতে পান শ্রমিকরা। সোমবার দুপুর একটায় মহাকরণে ডানলপ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। এর আগে, পয়লা এপ্রিল দুদিনের জন্য ডানলপে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস টাঙানো হয়। বর্তমানে প্রায় ৯০০ শ্রমিক ডানলপে কাজ করেন। গত কয়েকমাস ধরে উত্পাদন বন্ধ থাকলেও, জুলাই মাস পর্যন্ত বেতন পেয়েছেন তাঁরা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া এবং কাঁচামাল আনা- নেওয়ার কাজে শ্রমিকদের একাংশ বাধা দেওয়ায় সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি। এর আগে, রাজ্য সরকারের তরফে এই দুটি বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, এখনও যদি সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা মেলে, তাহলে দ্রুত কারখানা খোলা সম্ভব হবে। মাস দুয়েক আগেই রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু ডানলপে দ্রুত উত্পাদন শুরু করা ও শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য কড়া বার্তা দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষকে। এনিয়ে, মহাকরণে বৈঠকও হয়। একুশে সেপ্টেম্বর তিনটি শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে সরকারের বৈঠকে ঠিক হয়, কারখানা কর্তৃপক্ষ সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস দিতে চাইলে বা শ্রমিকরা ধর্মঘটে যেতে চাইলে আগে সরকারকে জানাতে হবে। ডানলপ কর্তৃপক্ষ এই নির্দেশ মেনেছেন কিনা, এখনও পর্যন্ত এই প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি। রুইয়া গোষ্ঠী ডানলপের দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে কারখানায় নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। পূর্ণমাত্রায় না পৌঁছলেও কখনই উত্পাদন একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। তবে, পুজোর ঠিক পরেই ডানলপ কারখানায় সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ রাজ্যের বন্ধ কল-কারখানার চিত্রটিকে আরও জটিল করে তুলল। ক্ষমতায় আসার আগে রাজ্যের রুগ্ন শিল্পের পুনরুজ্জীবনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বর্তমান শাসক দল। ডানলপের সমস্যা সমাধানে সরকার কতদূর পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করে, সরকারি উদ্যোগে আদৌ কাজের কাজ হয় কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে কারখানার শ্রমিকরা।