উচ্চ মাধ্যমিকে ৮৭% নম্বর, 'অভাব' অনিশ্চয়তায় ফেলেছে কৃতী ছাত্রীর কলেজে পড়ার স্বপ্ন
নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসারে পড়াশোনাটাই যেন বিলাসিতা। তবু অদম্য জেদ সম্বল করেই মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও তাক লাগিয়ে দিয়েছে রেখা। ৮৭% নম্বর পেয়েও অনিশ্চয়তার মুখে বাঁকুড়ার এই কৃতী ছাত্রী। কলেজে পড়ার সুযোগ কি আদৌ মিলবে?
ওয়েব ডেস্ক: নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসারে পড়াশোনাটাই যেন বিলাসিতা। তবু অদম্য জেদ সম্বল করেই মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও তাক লাগিয়ে দিয়েছে রেখা। ৮৭% নম্বর পেয়েও অনিশ্চয়তার মুখে বাঁকুড়ার এই কৃতী ছাত্রী। কলেজে পড়ার সুযোগ কি আদৌ মিলবে?
বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির নডিহি গ্রামের বাসিন্দা রেখা খাওয়াস ছোট থেকেই মেধাবী। দু বছর বয়সে মাকে হারিয়ে সত্ মায়ের কাছেই বেড়ে ওঠা। আজ বাসের খালাসি তো কাল দিনমজুরিই অসুস্থ বাবার পেশা। অভাবের কাছে হার না মেনে মাধ্যমিকেই সকলকে চমকে দিয়েছিলেন রেখা। এবার উচ্চমাধ্যমিকেও কলা বিভাগে তারকা এই ছাত্রী। দু কিলোমিটার দূরের স্কুলে যেতে পায়ে একটা চটিও জোটেনি। কুপির আলোর কেরোসিনও জোটেনি সবসময়। দুবেলা দুমুঠো খাবারও জোটেনি প্রতিদিন।
ভাগ্যিস পাশে দাঁড়িয়েছিলেন গ্রামের দুই যুবক। বইপত্তর জুগিয়েছেন তাঁরাই। আবার গৃহশিক্ষকের ভূমিকাতেও তাঁরাই ছিলেন রেখার সহায়। কিন্তু তাঁর কলেজে পড়ার স্বপ্ন কি আদৌ সফল হবে? মেয়েকে পড়াতে সাধ্যমতো লড়াই চালাতে তৈরি বাবা। অভাব সয়েই এখনও স্বপ্ন দেখেন রেখা।
শেষপর্যন্ত আশাপূরণ নাকি অকালে স্বপ্নভঙ্গ--এই টানাপোড়েনেই এখন কাটছে রেখার একদিন প্রতিদিন।