মালদার মানিকচকে গঙ্গার ভাঙনে ঘর হারানোরা নিজেরাই ঘর বাঁধল

গঙ্গার ভাঙনে তলিয়েছে বাড়ি। ঠাঁই হয়েছে রাস্তায়। প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি কিছুই। এবার নিজেরাই সরকারি জমি দখল করে আস্তানা তৈরি করতে গেলেন মালদার মানিকচকের গৃহহারারা।  জমি দখল করতে গেলে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় গৃহহারাদের। পরে অবশ্য বিডিওর আশ্বাসে অন্যত্র সরে যান মানিকচকের গৃহহারারা।

Updated By: Sep 2, 2016, 11:12 PM IST
মালদার মানিকচকে গঙ্গার ভাঙনে ঘর হারানোরা নিজেরাই ঘর বাঁধল
ছবিটি প্রতীকী।

ওয়েব ডেস্ক: গঙ্গার ভাঙনে তলিয়েছে বাড়ি। ঠাঁই হয়েছে রাস্তায়। প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি কিছুই। এবার নিজেরাই সরকারি জমি দখল করে আস্তানা তৈরি করতে গেলেন মালদার মানিকচকের গৃহহারারা।  জমি দখল করতে গেলে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় গৃহহারাদের। পরে অবশ্য বিডিওর আশ্বাসে অন্যত্র সরে যান মানিকচকের গৃহহারারা।

বনধের দিন প্রচণ্ড কর্মব্যস্ততায় কাটালেন মালদার মানিকচক বিডিও অফিসের কর্মীরা। গঙ্গার ভাঙনে ভিটেমাটি হারানো চারশো পরিবার আস্তানা পেতে লোটাকম্বল নিয়ে হাজির হয়েছিল বিডিও অফিসে। কোনওক্রমে আটকায় পুলিস। পরে মানিকচকের বিডিও আশ্বাস দেন গঙ্গার ভাঙনে ভিটে হারানো পরিবারগুলির বসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

গত দু বছর ধরে মানিকচকের নারায়ণপুর চর ক্রমশ তলিয়েছে গঙ্গার ভাঙনে। এবারের বর্ষায় চরটাই হারিয়ে গেছে। ভিটেমাটি হারিয়েছে চারশ পরিবার। চরের মানুষদের ঠাঁই হয়েছে রাস্তার ধারে। ঘর হারা এই পরিবারগুলি বারবার প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে। কাজ না হওয়ায় মানিকচক ব্লক অফিসের সামনের আমবাগান ও মানিকচক শিক্ষানিকেতন হাই স্কুলের খেলার মাঠ দখল করে আস্তানা গড়ার কাজ শুরু করে তারা।

আরও পড়ুন- রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রেললাইনের পাশ থেকে মিলছে বস্তা বস্তা আধার কার্ড, কিন্তু কেন?

দখলদারি আটকাতে গেলে উদ্বাস্তুদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিসের। পরে বিডিওর আশ্বাসের পর তাঁরা ফিরে যায়। ভিটেমাটির পরিবারগুলি এবার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছে।

.