আত্মসমর্পণ করেই ছাড়া পেয়ে গেলেন বুথ দখলে অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক

অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন বাঁকুড়ার সোনামুখীর তৃণমূল বিধায়ক দীপালি সাহা। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই ফেরার ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বুথ দখল ও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ রয়েছে। আজ সকালে বিষ্ণুপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

Updated By: Jun 23, 2014, 01:40 PM IST

-------------------------------------------

দেড়মাস ফেরার থাকার পর আত্মসমর্পণ। আর আত্মসমর্পণের আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেলেন সোনামুখীর তৃণমূল বিধায়ক দীপালি সাহা। শুধু তাই নয়, জামিনের শর্ত হিসেবে ব্যক্তিগত বন্ডের পাঁচ লক্ষ ও সিওরিটি রেজিস্ট্রার্ডের দশ হাজার টাকাও আদালত চত্বরেই গুণে দিলেন তিনি।

তৃণমূল বিধায়কের চটজলদি জামিনে বিতর্ক ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। লোকসভা ভোটের সময় বাঁকুড়ার সোনামুখীর সাহাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে ছাপ্পা ভোট, ভোটকর্মীকে কাজে বাধা এবং হুমকি দেওয়ায় অভিযুক্ত তিনি। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে দীপালি সাহা সহ মোট কুড়িজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন প্রিসাইডিং অফিসার সুখেন্দু রজক।

এরপর থেকেই ফেরার ছিলেন সোনামুখীর বিধায়ক। পুলিসের খাতায় ফেরার থাকাকালীনই বিধানসভার অধিবেশনেও যোগ দেন তিনি। কিন্তু, শাসকদলের বিধায়কের নাগাল পায়নি রাজ্য পুলিস। আজ সকাল আটটায় বিষ্ণুপুর আদালতে আত্মসমর্পণের পর সাড়ে দশটার মধ্যেই জামিন পেয়ে যান তৃণমূল বিধায়ক।

চতুর্থ দফার ভোটের দিন এই কেন্দ্রের অন্তর্গত সোনামুখীর সাহাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে হাজির হন বিধায়ক দীপালি সাহা। অভিযোগ, বুথে ঢুকে সঙ্গীদের ছাপ্পা ভোট দিতে নির্দেশ দেন তিনি। দীপালি সাহা নিজেও শতাধিক ছাপ্পা ভোট দেন বলে কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানায় সিপিআইএম।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনকে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। এই নির্দেশের পরেই সোনামুখী থানায় দীপালি সাহা সহ মোট কুড়ি জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার সুখেন্দু রজক। অভিযোগের ভিত্তিতে দীপালি সাহার দশজন সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের তিনদিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয় বিষ্ণুপুর আদালত।

.