ধনেখালি কাণ্ডে রাজ্যকে তিরস্কার আদালতের
ধনেখালি থানায় লক আপে বন্দি মৃত্যুর মামলায় রাজ্যকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। আজ মামলার শুনানি চলাকালীন তিনি মন্তব্য করেন, এই মামলায় অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং সরকারি আইনজীবীর বক্তব্যে সঙ্গতি নেই। আদালতকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কিনা, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। রাজ্য সরকার রিপোর্টে জানিয়েছে, হৃদরোগেই মৃত্যু হয়েছে বন্দি নাসিরুদ্দিনের।
ধনেখালি থানায় লক আপে বন্দি মৃত্যুর মামলায় রাজ্যকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। আজ মামলার শুনানি চলাকালীন তিনি মন্তব্য করেন, এই মামলায় অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং সরকারি আইনজীবীর বক্তব্যে সঙ্গতি নেই। আদালতকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কিনা, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। রাজ্য সরকার রিপোর্টে জানিয়েছে, হৃদরোগেই মৃত্যু হয়েছে বন্দি নাসিরুদ্দিনের।
অথচ পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে দেখা গেছে মৃতের দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, কেন ওই থানার ওসিকে গ্রেফতার করা হয়নি। রাজ্যের তরফে আদালতকে দেওয়া ফুটেজের সিডিতে সব ছবি না থাকায় সরকারি আইনজীবীকে তিরস্কার করেন তিনি। নতুন করে এই মামলায় রাজ্যকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৪ মার্চ।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ শে জানুয়ারি তৃণমূল কর্মী কাজী নাসিরুদ্দিনকে থানায় নিয়ে যায় ধনেখালির পুলিস। পরের দিন ধনেখালিতে পুলিস লকআপে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু। তৃণমূলের একাংশের দাবি পুলিসের অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে নাসিরউদ্দীনের। এই ঘটনায় প্রকাশ্যে চলে আসে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বও। মৃতের পরিবার সদ্রাসরি অভিযোগ আনে স্থানীয় বিধায়ক অসীমা পাত্রের বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। তিন সপ্তাহের মধ্যে গোটা ঘটনার রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার তদন্তের জন্য আইজি পর্যায়ের অফিসার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন।
এই বিষয়ে কী বলছে রাজনৈতিক মহল আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক--
আব্দুল মান্নান (কংগ্রেস নেতা)-- সরকার যেভাবে সিআইডির নামে মানুষের চোখে ধুলো দিচ্ছে তা ওই ঘটনার তদন্তের নামে একটা প্রহশন। তাই অবিলম্বে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। ধনেখালিকাণ্ডে রাজ্যকে হাইকোর্টের ভরতসনা প্রসঙ্গে বললেন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান।
সুজন চক্রবর্তী (সিপিআইএম নেতা)-- তদন্তের নামে যেভাবে দোষীদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে না তাতে রাজ্যের মানুষ খুবই অখুশি। সরকারের ইচ্ছা অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে যদি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা তৈরি হয় তাহলে তা রাজ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
ওমপ্রকাশ মিশ্র (কংগ্রেস নেতা)-- এটা কোনও নতুন ঘটনা নয়। হাইকোর্ট প্রায় প্রতিটি বিষয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করতে বাধ্য হয়েছে। দলতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছএ সরকার। যার ফলশ্রুতি ধনেখালিকাণ্ডে হাইকোর্টের রায়।