লেদার কমপ্লেক্সের শ্রমিক মৃত্যুতে সামনে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
একটা অঘটন। ৩ শ্রমিকের মৃত্যু। কিন্তু, এই ঘটনা সামনে এনে দিল দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আরও একটা ছবি। জাভেদ খান শিবিরের দিকে সরাসরি বেনিয়মের অভিযোগ তুলছেন লেদার কমপ্লেক্স লাগোয়া তাড়দহ পঞ্চায়েতের প্রধান। কিন্তু, এই তৃণমূল নেতার পিছনে কে?
ওয়েব ডেস্ক: একটা অঘটন। ৩ শ্রমিকের মৃত্যু। কিন্তু, এই ঘটনা সামনে এনে দিল দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আরও একটা ছবি। জাভেদ খান শিবিরের দিকে সরাসরি বেনিয়মের অভিযোগ তুলছেন লেদার কমপ্লেক্স লাগোয়া তাড়দহ পঞ্চায়েতের প্রধান। কিন্তু, এই তৃণমূল নেতার পিছনে কে?
সরাসরি অভিযোগ মন্ত্রীপুত্রের দিকে। দমকলমন্ত্রী জাভেদ খানের ছেলে ইমরান। ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক। লেদার কমপ্লেক্স নাকি চলে শুধুমাত্র তাঁর অঙ্গুলিহেলনেই। দলেরই এক পঞ্চায়েত প্রধানের তোপকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে জাভেদ খান শিবির? অভিযোগ তুড়ি মেরে ওড়ালেও, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আঁচটা কি এড়াতে পারবেন মন্ত্রী? অনেকেই বলছেন পঞ্চায়েত প্রধান আসলে মুখ মাত্র। আসলে পিছনে রয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনারই তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতা। আর লক্ষ্য হচ্ছে বিধানসভা ভোট। মন্ত্রীপুত্র ইমরানের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনায় জল ঢালতেই কাজে লাগানো হল পঞ্চায়েত প্রধানকে। আর এই ঘোলাজলেই মাছ ধরতে নেমে পড়লেন আরাবুল ইসলামও।
লেদার কমপ্লেক্সে বেনিয়মের অভিযোগ নতুন নয়। তৃণমূলের ঘর থেকেই মন্ত্রীর ছেলের নাম এভাবে সামনে চলে আসায় ভোটের আগে মতুন অস্ত্র পেল বামেরাও। কিন্তু, সব ছাপিয়ে উঠে আসছে একটাই প্রশ্ন। দলের কোন্দল আর দায় ঝেড়ে ফেলার কৌশলের যাঁতাকলে পড়ে যে চলে গেল তিনটি প্রাণ! এই দায়টা কার?