উত্তরবঙ্গে বিস্তৃত চা বাগান জুড়ে শুধুই অভিশপ্ত শৈশবের ছবি
উত্তরবঙ্গ মানেই বিস্তৃত চা বাগানের ছবি। এই চা বাগানগুলিতেই চরম অবহেলায় বেড়ে উঠছে চা শ্রমিকদের সন্তানরা। এ ছবি অনেককেই অবাক করে। পেটের জ্বালায় যখন পাতা তুলতে থাকেন মায়েরা, তখন চা বাগানেই বেড়ে ওঠে শৈশব। জন্মের পর থেকেই চা বাগানই আস্তানা হয়ে ওঠে এইসব শিশুদের।
ব্যুরো: উত্তরবঙ্গ মানেই বিস্তৃত চা বাগানের ছবি। এই চা বাগানগুলিতেই চরম অবহেলায় বেড়ে উঠছে চা শ্রমিকদের সন্তানরা। এ ছবি অনেককেই অবাক করে। পেটের জ্বালায় যখন পাতা তুলতে থাকেন মায়েরা, তখন চা বাগানেই বেড়ে ওঠে শৈশব। জন্মের পর থেকেই চা বাগানই আস্তানা হয়ে ওঠে এইসব শিশুদের।
আট ঘণ্টায় টার্গেট পনের কেজি পাতা। নাহলে টাকা কাটা যাবে। মালিকের চোখ রাঙানি। শিশুদের তাই ফিরে দেখারও সময় নেই মায়েদের? অবহেলা, অনাদরে বাগানের এক কোণেই কাটে সারাটা দিন।
এই শিশুদের জন্য স্থায়ী ক্রেস তৈরির কথা আইনে বলা আছে। তবে উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ চা বাগানেই অস্থায়ী ছাউনি বা গাছে বাঁধা অবস্থাতেই পড়ে থাকে শিশুরা।
দার্জিলিং পাহাড়ের চা বাগিচার সেরা পাতা যায় বিদেশে। কোটিপতি হন মালিকরা। কিন্তু ভবিষ্যত প্রজন্ম? ঘণ্টার পর ঘণ্টা মায়ের দুধের জন্য অপেক্ষা করে থাকে তারা। অবহেলা, অনাদরেই কোনও মতে কাটে শৈশব।